নিউইয়র্কে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক!
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২০, ৪:৪২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ট্রাম্পের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ১১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ৯০৮ জনের। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি শুধু নিউইয়র্ক শহরেই মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মারা গেলেন ৫৩ বাংলাদেশি। করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ বাংলাদেশির মৃত্যুতে দেশটিতে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নতুন করা মারা যাওয়া ১৮ বাংলাদেশি হলেন- সাহারা বেগম, মোস্তাক আহমদ, জিল্লুর রহমান, মো. ওয়াজিল্লাহ, মালেকুজ্জামান মানিক, আবদুল মালেক খান, আফজাল আহমদ, মো. মহসিন, রাশেদা আক্তার বিউটি, শিপন মিয়া, আউয়ুব খান, সৈয়দা খাতুন, বদরুল হক আতিক, মহিকুজ্জামান, রহমান স্বপন, আবদুর রউফ, রফিক উদ্দিন ও ফারুক আহমদের মা।
এর আগে, গত ৩১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চারজন নিউইয়র্ক ও একজন নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে মারা যান। এ নিয়ে ১ এপ্রিল পর্যন্ত আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
করোনার হানায় দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত সাড়ে ২৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে, সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ২১৫ জনে।
দেশটিতে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নিউইয়র্ক রাজ্য। গোটা দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই এ অঙ্গরাজ্যের। বুধবার এ অঞ্চলে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯১৭ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৯০১ জন। এদিন সেখানে মারা গেছেন আরো ৩১৯ জন। ফলে শুধু নিউ ইয়র্কেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৯ জনে।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত আজকাল পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যাকশন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, নিউইয়র্কে কয়েক লাখ বাংলাদেশির মধ্যে কমপক্ষে ৫০ হাজার আছেন যারা দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করেন। অনেকে ট্যাক্সি চালান। এসব মানুষের বিপদ সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশিদের জমজমাট জ্যাকসন হাইটস এলাকার প্রায় সবকিছু বন্ধ। ট্যাক্সিচালক ও যারা ট্যাক্স দেন, তারা কিছু প্রণোদনা পাবেন।
তিনি আরো বলেন, নিউইয়র্ক পুলিশের ৫ শতাধিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গেছে। অনেক পুলিশ সদস্য সেলফ আইসোলেশনের কথা বলে ছুটিতে আছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হলেও পুলিশ স্বল্পতায় প্রশাসন উদ্বিগ্ন। যদিও প্রয়োজনে সেন্ট্রাল পুলিশ দিয়ে সহায়তার কথা বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশে অনেক বাংলাদেশি কাজ করেন। তাদেরও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি।