মালয়েশিয়ায় আরও ৬ জনের মৃত্যু : অনিশ্চয়তার মুখে প্রবাসীরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০২০, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত ৪৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৭৬৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকাতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পর্যটন নগরী মালয়েশিয়ায় চলছে লকডাউন।
লকডাউনের গতকাল ১৪তম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ বেঁধে দেয়া এ আদেশ বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রাণঘাতি করোনার কারণে সর্বসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আনতে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। বিনা কারণে ঘর থেকে বের হলেই করা হচ্ছে জেল জরিমানা। সরকারের দেয়া নিয়ন্ত্রণ অমান্য করায় আটক করা হয়েছে প্রায় ৮২৮ জনকে। এ অবস্থায় বাংলাদেশিসহ সকল প্রবাসী চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছেন। খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেক প্রবাসী। বেশিরভাগ শ্রমিকদের কাছে নগদ অর্থ নেই। কোম্পানিগুলোর কাজ বন্ধ।
সরকার ঘোষিত লকডাউনের সময় বেতন পরিশোধের ঘোষণা দিলেও বেতন পাবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই বলছেন অনেকে। বেশিরভাগ কোম্পানিই চায় না লকডাউন সময়কালের বেতন শ্রমিকদের বুঝিয়ে দিতে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্য উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার জন্ম নিয়েছে। অবৈধ অভিবাসী যারা রয়েছেন তারা সমস্যার সম্মুখীন বেশি। এই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত বৈধ অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। এমন পরিস্থিতিতে হাইকমিশন বলছে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। মিশনের ফোন, ইমেইলে বা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে হাইকমিশনে যোগাযোগ করার জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। হাইকমিশনার মহ. শহিদুল ইসলাম বলছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই মহামারী থেকে আমরা উত্তরণ করব।
হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া সরকারের আদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন চলছে। সেখানে বা মালয়েশিয়ার অন্য কোনো স্থানে বাংলাদেশি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর নেই। ইতিমধ্যে ঢাকায় জানানো হয়েছে এখানকার পরিস্থিতি। দূতাবাস থকে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন সেবা দেয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা পালাক্রমে ডিউটি দিচ্ছেন। আমরা রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে অবস্থানরত সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। যেই সমস্যা নিয়ে ফোন করছেন তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া করোনা ভাইরাসজনিত অসুস্থতায় স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি সাময়িক পরামর্শ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই সেবা অব্যাহত থাকবে। পরামর্শ প্রদান করবেন বাংলাদেশী চিকিৎসকবৃন্দ। আগ্রহী বাংলাদেশী নাগরিকদের সময়সূচি অনুযায়ী দূরালাপনীর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিক এন কেয়ার ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা সকল ইমিগ্রান্ট নাগরিকদের চিকিৎসা বিষয়ক ফ্রি পরামর্শ দেয়া হবে বলে জানালেন আয়োজকরা।-দৈনিকজালালাবাদ