করোনা: যোগ্য নেতৃত্ব এবং ধৈর্যশীল জনগণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২০, ৯:৩১ অপরাহ্ণ
মোঃ বাদশা মিয়া:
আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে কতোটুকু অবিশ্বাসী হলে এই মহামারির দিনেও তাদের কেউ বিশ্বাস করছে না। ত্রাণসামগ্রী সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি বিতরণের কথা বলছে। কতবার অবিশ্বাস ভঙ্গ হলে জনগণ এমন দাবি তুলতে পারে! এই লজ্জা আসলে কার?
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মানুষ আওয়াজ তুলছে। এমনকি ওনাদের কথা বলে ইন্নালিল্লাহি পড়তে, হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে।
নেতামাতৃক বাংলাদেশে বা এতো এতো নেতার ভীড়ে খুব কম নেতাদেরই জনগণের পাশে থেকে এই বিপদের দিনে সাহস দিতে দেখা যাচ্ছে।
মানুষের মনে হাজারো প্রশ্ন? কতোদিন এই সংকট থাকবে? এই যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি? করোনা না খাদ্য সংকটে মরতে হবে? তা তারা জানে না। এরকম হাজারো প্রশ্ন নিয়ে সংশয়ে দিন কাটছে দেশের মানুষের।
ঠিক এমনি সময়ে মানুষ যোগ্য নেতৃত্বের অভাব বোধ করছে। যে নেতৃত্ব সাহস যোগাবে। করোনা সমস্যা নয়, খাবার সমস্যা থেকে বাচাবে।
তবে আশার কথা হলো দেশের অনেক জায়গায় সত্যিকারের মানবিক গুণসম্পন্ন জনপ্রতিনিধিরা এবং সাধারণ মানুষরা এই মহামারির দিনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় জনসচেতনতা তৈরি এবং খাদ্য সংকট থেকে বাচাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন তারা। দেশের নেতৃস্থানীয় বা জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তাদের উচিত মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা এবং গনমানুষের পাশে দাড়ানো।
এমনি সংকট মুহূর্তে জনগণেরও ধৈর্যশীল ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।কারণ, আমাদের মতো দেশের ক্ষেত্রে চাওয়া আর পাওয়ার বিস্তর ফারাক রয়েছে। সময় দিতে হবে। যদিও যথেষ্ট ধৈর্যশীল দেখা যাচ্ছে জনগণকে। তবে সময় এখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বৈশ্বিক অবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে যতো কম ক্ষতি হয়, তা ব্যবস্থা নেয়া। কথার চেয়ে কাজের গতিপ্রকৃতি বৃদ্ধি করা। যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে এই সংকট কাল থেকে উত্তরণের পথ দেখানো। আর আমরা সাধারণ জনগণের উচিত ঘরে থাকা এবং আশপাশের খাদ্য সংকটে ভোগা মানুষকে সাহায্য করা।
ঘরে থাকুন এবং সবাই মিলে সুস্থ থাকুন।
মোঃ বাদশা মিয়া,
প্রাক্তন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী এবং সামাজিক সংগঠক।