কমলগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম বিপাকে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২০, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিম্ন আয়ের লোকজন চরম বিপাকে পড়েছেন। রিক্সাচালক, সিএনজিচালক, টমটমচালক, দিনমজুর, হোটেল কর্মচারী,রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি এসব পেশার মানুষ খুব কষ্টের মাঝে দিন যাপন করছেন। অঘোষিত লকডাউনের কারনে নিম্ন আয়ের লোকজন কাজে যেতে পারছে না। হাতেও যা ছিল তাও শেষ। নতুন করে রোজগার করতে না পারায় খেয়ে বেচে থাকই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে মানুষজনের।
কথা হয় রাজটিলা গ্রামের দিনমজুর হক আলীর সাথে। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। প্রতিদিন দিন মজুরের কাজ করে মুজুরি পেতেন ৩০০-৩৫০ টাকা। তা দিয়ে সংসার চলতো। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর বিপাকে পড়েছেন তিনি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানায় সরকার।
মানুষ বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় রোজগার নেই বললেই চলে সিএনজি চালক রইচ মিয়ার। রাস্তায় মানুষ নেই তাই বের হন না গাড়ি নিয়ে। এক দিন বের হয়েছিলেন পুলিশ তাড়িয়ে দিয়েছে।। ফলে ৪দিন থেকে আয় রোজগার নেই তার। ধার করে বাজার করে দিনাতিপাত করছেন।
এমন অবস্থা বিরাজ করছে গোটা কমলগঞ্জ উপজেলায়। শতাধিক সেলুন, হোটেল বন্ধ বেকার অবস্থায় বাড়িতে বসা হাজারো মালিক ও কর্মচারীরা। আয় নেই তাই কিভাবে চলবেন ভেবে পাচ্ছে না তারা। বাসা বাড়িতে নতুন বিল্ডিং কাজ বন্ধ । ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় নিয়োজিত তারাও ভিক্ষায় বের হচ্ছে না । কেউ ভিক্ষা দিতে চায় না। সবাই তাড়িয়ে দেয়। এমন দৃশ্য গ্রামে গ্রামে। যদিও সরকারিভাবে ৫০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে তা সামান্য বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, সরকারিভাবে কিছু সহায়তা করা হয়েছে তিনি সমাজের দানশীল ব্যক্তিদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।