ফুলকলির পথে ইবনে সিনা : অত:পর ক্ষমা প্রার্থনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২০, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ফুলকলির পর বিদেশ ফেরতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়েছিল সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে পড়ে ফুলকলির মতো ‘প্রবাসীদের অবমাননাকর’ এই সাইনবোর্ড খুলে ফেলতে বাধ্য হয় তারা।
এর আগে, নগরীর সোবহানীঘাট পয়েন্টে ইবনে সিনার প্রবেশ মুখে লিখে রাখেন, ‘বিদেশ ফেরত কোন রোগী/দর্শনার্থী দয়া করে এই হাসপাতালে আসবেন না। আপনার/কারো করোনা ভাইরাসে কোন উপসর্গ দেখা দিলে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে যোগাযোগ করুন’।’
এমন নিষেধ জারি করার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ফেইসবুকে অনেকে বলছেন, বিদেশ ফেরত মানেই করোনা ভাইরাসের রোগী এটা ঠিক নয়, সবাই সাধারণ চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে, ঐটা অমানবিক, এটা বিশৃঙ্খলা, ইবনে সিনার উচিত ছিল বলা ।
সদ্য বিলেত ফেরত রোগীসহ সকল রোগী পর্যাপ্ত প্রটেকশন ব্যবহার করে চিকিৎসা নিতে আসবেন, আর আপনি যদি মনে করেন করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ আপনার মাঝে বিদ্যমান, তাহলে শহীদ শামছুদ্দীন হাসপাতালে সরাসরি যোগাযোগ করুন। ‘এটা কি ধরনের কথা বল্লো ইবনেসিনা? ’ স্ট্রোক এ-র রোগী লইয়া গেলে ও কয় শামসুউদ্দিনো জাওয়ার লাগি। ডাক্তার হকলতে কি যে শুরু করছে।
আরেকজন লিখছেন- আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের এইভাবে ছোট করা ঠিক না, এই হাসপাতাল কে আমি বর্জন করেছে, আপনি করুন।‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি’ হাসপাতাল নাম দিছে কেনো? ‘আমি প্রথম থেকে এই হাসপাতালের অবস্থানের বিরুদ্ধে কারন রাস্তার মধ্যখানে হাসপাতালের অনুমোদন দেয়া টিক হয়ন’। সিলেট বিভাগের সকল জেলা উপজেলায় প্রবাসীদের পরিবারের কাছে এই মুহূর্তে বিষয়টি অবগত করুন।
অনেকে লিখছেন- ‘বিদেশী লোকের প্রবেশ নিষেধ’ না লিখে লিখা প্রয়োজন ছিল- প্রবাসীদের ১৪ হোম কোয়ারাইন্টাইনে থাকার পর ঢুকতে পারবেন। নতুবা পারবেন না।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন প্রতিক্রিয়া দেখে মুহুর্তের মধ্যে সাইন বোর্ড খুলে ফেলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়- করোনা সচেতনতায় এমন সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল।পরে আমাদের ভুল বুঝতে পেরে তা খুলে রেখেছি। ইবনে সিনা হাসপাতাল সকলের জন্য উন্মুক্ত।
এর কয়েকদিন আগে দোকানের প্রবেশমুখে ‘বিদেশী লোকের প্রবেশ নিষেধ’ লিখে বিপাকে পড়ে ফুলকলি সুইটস এন্ড পিওর ফুড কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনার চাপে পড়ে ‘বিদেশী লোকের প্রবেশ নিষেধ’ ষ্টিকারটি সরিয়ে ফেলে ফুলকলি গোলাপগঞ্জ শাখা কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে গোলাপগঞ্জ ফুলকলি শাখার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দিন, ফুলকলি সবার জন্য উন্মুক্ত। আমাদের একটি স্টাফ ভুল করে ‘বিদেশী লোকের প্রবেশ নিষেধ’ লেখাটা লিখেছিল।