করোনাভাইরাস: বড়লেখায় ফাঁকা বাজার, নিস্তব্ধ সড়ক, জনমনে আতঙ্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মার্চ ২০২০, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বাজারগুলোতে নেই মানুষের কোলাহল। চিরচেনা বাজারগুলো ফাঁকা। সড়কগুলো নিস্তব্ধ। জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরী সেবা ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পর দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় ফাঁকা হয়ে গেছে সকল রাস্তা-ঘাট।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানপাট বন্ধ। ওষুধ ও মুদি দোকানগুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা সমাগম নেই। গাড়ির স্ট্যান্ডগুলোতে দু’একটি গাড়ি। সড়কে নেই যানজট। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তারা দ্রুত চেষ্টা করছেন ঘরে ফেরার। প্রশাসনের নজরদারির কারণে এই অবস্থা। একসঙ্গে ঘোরাফেরাও করছেন না কেউ।
বড়লেখায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত না হলেও মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হাসপাতালের তথ্যমতে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৬৮ জন। কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়েছেন ২৬ জন। তবে বড়লেখায় প্রবাস ফেরতদের সংখ্যা অনেক বেশি।
বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের এম মেডিসিন সেন্টারের মালিক মিহির দে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘জরুরী প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যসব বন্ধ থাকায় শহর একেবারে ফাঁকা। অন্যদিনের মতো ওষুধ নিতে মানুষের ভিড় নেই। খোলা প্রয়োজন এই জন্য বসে ফার্মেসী খুলেছি। ওষুধ নিতে তেমন মানুষ আসেনি। মানুষের মাঝে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
অপরদিকে বড়লেখায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ৬টি প্রতিষ্ঠানে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ মার্চ) রাতে উপজেলার ফকিরবাজার, দাসেরবাজার ও চান্দগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিমানা হয়। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম শামীম আল ইমরান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে ঘরে থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। এর ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত (দরিদ্র) তাদের খাবারের ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।
শুক্রবার থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। যাদের প্রয়োজন সবাইকে পৌঁছে দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, চায়ের দোকানে, বাজারে কোথাও আড্ডা দেওয়া যাবে না। এসব কাজে যাদের পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।