কমলগঞ্জে দোকানপাট বন্ধে হঠাৎ প্রশাসন ও পুলিশি অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০২০, ৬:৪১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব রতন, মৌলভীবাজার:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর নির্দেশনায় মৌলভীবাজার জেলার সর্বত্র ফার্মেসী, কাঁচাবাজার, হাসপাতাল জুরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট, শপিংমল, রাস্তার পাশের দোকান, হোটেল রেস্তোরা বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনার পর কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাদে দোকানপাঠ ও বিপনী বিতান খোলা থাকায় বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান শুরু করলে সর্বত্র হুড়োহুড়ি শুরু হয়।
বুধবার সকাল থেকে কমলগঞ্জের হাটবাজারে দোকানপাট খোলা থাকছে কিনা, থাকলে ও কোন ধরণের দোকানপাট খোলা থাকছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। আগামীতে কি হচ্ছে বা হবে, কোন দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় কিনা তা ভেবে সকাল থেকেই ক্রেতারা বাজারে এসে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অতিরিক্তহারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে দেখা যায়। বেলা ২টায় আকস্মিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় জনপ্রতনিধিদের নিয়ে কমলগঞ্জ সদরের ভানুগাছ ও শমশেরনগরের হাট-বাজারে অভিযান চালায়। এসময় মানুষজন ফল থেকে শুরু করে কাঁচা বাজার ও মোদী সামগ্রী কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। আকস্মিকভাবে পুলিশি অভিযানে দোকানীরা দোকানপাট বন্ধে আর ও ক্রেতারা কেনা সামগ্রী সামাল দিয়ে দৌড় শুরু করেন। এ অবস্থায় অনেক ক্রেতাকে দৌড়ে হাপিয়ে উঠতে দেখা গেছে।
আলাপকালে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বলেন, সরকারি এ নির্দেশনা মাইকিং করে প্রচার করলে মানুষজনও বাজারে আসতেন না। তারা আজকের এ অবস্থায় সাধারণ মানুষজনের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও জানান।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হাট বাজারের জন সমাগম কমাতে মৌলভীবাজারের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাজিয়া শিরিন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বুধবার হাটবাজারে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এখানে আতঙ্কের কিছু ছিল না। ইতোমধ্যেই গণ মাধ্যমে প্রচার করে সরকারিভাবে এ নির্দেশনা প্রচার করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য সু-রক্ষায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষজনের সাতে প্রশাসনিক ও পুলিশ প্রশাসন থেকে কোন প্রকার খারাপ আচরণও করা হয়নি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশনায় ফার্মেসী, খাবার, কাঁচাবাজার, হাসপাতাল ও জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত বিপনী বিতান, রাস্তার ধারের চায়ের দোকান, হোটেল- রেস্তোরা বন্ধ রাখার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান।