অসহায় মানুষদের নিয়ে আবারও মুনাফার চক্রান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০২০, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
আবুল ফয়েজ:
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই মাস্কের দাম দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। রোববার (৮ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে যে মাস্ক ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
করোনা শনাক্তের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দোকানগুলোতে মাস্ক কেনান হিড়িক পড়ে যায়। ফার্মেসি, স্টেশনারি দোকান এমনকি ফুটপাতের দোকানেও মাস্ক কিনতে এক ধরনের মাতামাতি সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর গুলশান, মোহাম্মদপুর, বনানী, শ্যামলী, ধানমন্ডিসহ প্রায় সব এলাকার ফার্মেসির দোকানগুলাতে হ্যান্ড স্যানেটাইজেশন ও মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে। যে দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোতে কয়েকগুণ বেশি দাম রাখার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লিংকন মোহাম্মদ লুৎফরজামান সরকার ফেসবুকে গুলশান-১ এর একটি ফার্মেসি দোকানের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন ‘গুলশান-১-এর আপডেট! কোনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার নাই, সব শেষ হয়ে গেছে! ১০ টাকার ওয়ান টাইম ফেসমাস্কের দাম ৪০ টাকা! হায়রে আমার দেশের মানুষ! এত অসৎ কীভাবে হয়!’
মাকসুদুল হাসান ভূঁইয়া রাসেল নামে একজন লিখেছেন, ‘অসভ্য মানুষে দেশটা ভরে গেছে! সকালে গুলশানে এক ঔষধের দোকানে এক বক্স (৫০ টা) সার্জিকেল মাস্কের দাম চাইল ১৩০০ টাকা (কদিন আগেও ১৫০-১৬০ টাকা ছিল)! সন্ধ্যায় এক বক্সের দাম হয়ে গেলো ১৫০০ টাকা! মানে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এক লাফে প্রতি বক্সে ২০০ টাকা বেড়ে গেল! আরো বাড়বে নিশ্চিত, কারণ হায়েনারা সব পারে! ওদের জিজ্ঞেস করতে মন চায়, তোরা কি করোনা ভাইরাস আওতার বাইরে? যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন, দয়া করে এসব ‘মাস্ক সন্ত্রাস’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, নয়তো জনসাধারণের দীর্ঘশ্বাস আপনাদেরও ছুঁয়ে যাবে!
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।