বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদী খনন: দেখা দিয়েছে ফাটল, গ্রামবাসীর ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০২০, ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের বালাগঞ্জ সদরের রাধাকোনা থেকে শাজানপুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কুশিয়ারা নদী খনন করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন “BIWTA” -এর অধীনে কাজ করছে বঙ্গ ড্রেজার্স লিমিডেট।
তাঁদের নীতিমালা অনুযায়ী নদী খনন না করে, নদীর গভীরতা যে দিকে বেশী, সেদিকে আরোও দু-হাত করে খনন করলে রাধাকোনা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান হাসনু মিয়ার বাড়ি, মেরাব আলীর বাড়ি, শিপন মিয়ার বাড়ি, ফজলু মিয়ার বাড়ি, জগলু মিয়ার জায়গা ভেঙ্গে ক্রমশ আকার ধারন করছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা এবং হতাশা বিরাজ করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বালাগঞ্জ সদরের রাধাকোনা থেকে শাজানপুর পর্যন্ত ২ কিঃমিঃ নদী খননের কাজ গতকাল শনিবার(০৭ মার্চ) শুরু করলে এলাকার মানুষ তাঁদের কাছে জানতে চাইলে এটা ওঠা বলে বুঝিয়ে তাঁরা কাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে নদীর গভীরতা যে দিকে বেশী, সেদিকে আরোও গভীর করতে তাঁরা গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান হাসনুর ঘরের পাশে ফাঁটল দেয় সেটা জগলু মিয়ার জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত। এমন অবস্থা দেখে এলাকা বাসী ড্রেজার কে মাটি খনন করতে বাঁধা দেন,বাঁধা উপেক্ষা না করে তাঁরা মাটি খনন করতে থাকে। পরিশেষে বালাগঞ্জ ইউনিয়নের সদস্য আব্দুস শহিদ দুলাল কে বিষয়টি জানালে তিনি স্বয়ং অাসেন।
তিনি ফাঁটল দেখে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জান যাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আপনাদের অফিসের নাম কি,কোথায়? এখানে কার কথায় মাটি খননে নামছেন? স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিয়েছেন? এমন প্রকার অনেক প্রশ্ন করেন তিনি। তাঁরা সঠিক তথ্য দিতে না পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আগামী কাল সরেজমিনে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
এমতাবস্থায়, মোঃ আশানুর রহমান বঙ্গ ট্রেজার লিমিডেট এর ইঞ্জিনিয়ারকে অনেক প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দেন নি। তিনি নিজের নাম পর্যন্ত গোপন রাখার চেষ্টা করেন। তিনি কাজ করতে আসছেন কিন্তু কোম্পানি বা “BIWTA” কারো সাথে যোগাযোগ নাই বলে জানান তিনি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যানকে অবগত করছি ( তবে কথা গুলো মিথ্যা বানোয়াটে এমন কোন যোগাযোগ করেনি তারা)।
ভাঙ্গনের ব্যাপারে, বঙ্গ ট্রেজার্স লিমিডেট ড্রেজিনিং সুপার ভাইস ফরিদ মিয়া বলেন, এর ক্ষতিপূরণ আমাদের বড় অফিসার দিবে।
সুরমা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তাঁদের সাথে আলাপ কালে বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর মাটি রাজনগর উপজেলা তোলার কারণ কি? তবে প্রশ্নের কোন জবাব পাওয়া নি।
তথ্য সূ্ত্রে জানা যায় যে, ১লক্ষ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পূর্ব পৈলনপুর থেকে বালাগঞ্জ নিয়ে আশা হয়েছে। ইউনিয়ন প্রভাব শালী ব্যক্তিরা মাটি নিচ্ছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করলে তাঁরা জবাব দিতে বাধ্য নয়।
রাধাকোনার জনগন ইউপি সদস্য আব্দুস শহিদ দুলাল’র সহযোগিতায় প্রশাসন কে বলেন, আমাদের এলাকার মাটি অন্য এলাকায় কেন? আমাদের মাটি আমরা ফেরৎ চাই।