শব্দ দূষণ এক নিরব ঘাতক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মার্চ ২০২০, ৩:২৬ অপরাহ্ণ
সুজ্জল আহমদ:
শব্দ দূষণ নিরব ঘাতকের ভূমিকায় নেই কোন নিয়ন্ত্রণ আইন আছে পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ। প্রয়োগ আছে পকেটে সীমাবদ্ধ, কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে স্কুল মাদ্রাসা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে শব্দ বিভ্রাট এক নিরব ঘাতক নিয়ে।
প্রচলন ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় শব্দ দূষণ একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে দাড়িয়েছে। নির্বাচনী প্রচারনা থেকে শুরু করে সবকিছুই মহামারী পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। স্কুল কলেজ মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের আমরা গড়ে তুলছি বাক শ্রবন রোগী হিসাবে যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি দেখেন না। নাকি উনাদের ছেলে মেয়ে অস্ট্রেলিয়া আমেরিকায় পড়াশোনায় দিয়ে এসি রুমে বসে অফিস কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ। মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ১২% মানুষ শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে পরিবেশ অধিদফতরের সাম্প্রতিক জরিপে উঠে আসে। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ , ফুসফুসজনিত জটিলতা , মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা। শব্দ দূষণ নীতিমালা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। সামাজিক আন্দোলন যতদিন গড়ে উঠতে পারবেনা ততদিন বধির রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে এই নিরব ঘাতক শব্দ দূষণে আসুন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
#যত্রতত্র_মাইকিং_বন্ধ_করুন
#যততত্র_হর্ন_সাইরেন_বন্ধ_করুন
#স্কুল_কলেজের_সামনে_মাইকিং_হর্ন_বন্ধ_করুন।
#আপনার_এলাকায়_অপ্রয়োজনীয়_শব্দ_দূষণ_নিয়ন্ত্রণ_করুন।
লেখকঃ অনলাইন এক্টিভিস্ট ও ফ্রিলেন্সার