দুই সপ্তাহ ধরে গ্রীসের মর্গে সিলেটের ফয়সলের লাশ, অপেক্ষায় স্বজনরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৭:০০ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
এনামুল এহসান জায়গীরদার ফয়ছল( ৩০)। বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড়ের রাজাপুর গ্রামের মুহুদ আহমদ জায়গীদার’র দ্বিতীয় ছেলে। তুর্কি হয়ে গ্রীসের পথে রওনা হয়েছিলেন তিনি। হয়তো আর কিছু পথ পাড়ি দিলেই স্বপ্নের দেশ ইউরোপের কাঙ্খিত গন্তব্যে যেতে পারতেন। নিয়তির লিখন, যাত্রা পথেই থেমে গেল দেহঘড়ি।
তুর্কী থেকে গ্রীসে যাত্রা পথে বরফের পাহাড়ে মৃত্যুবরণকারী ফয়সলের মৃতদেহ শেষ বারের মত একনজর দেখার আকুতি জানিয়েছেন তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা। কবে লাশ দেশে আসবে? অপেক্ষার প্রহর গুণছেন তারা।
গ্রীসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- বাংলাদেশ দুতাবাসের মানবিক আবেদন সাড়া দিয়ে গ্রীস প্রশাসন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রযুক্তির সহযোগীতায় ফয়ছলের লাশ পড়ে থাকা স্থানে তোলা ছবির সূত্র ধরে গ্রীসের আলেকজান্ডার পলি সীমান্তে পাহাড়ী এলাকাটি চিহ্নিত করা হয়। মারা যাওয়ার ৬দিন পর অনেক চেষ্টা করে ১২ ফেব্রুয়ারি বরফের নীচ থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে আলেকজান্ডার পলি নামক হসপিটালে হন্তান্তর করা হয়। দুই সপ্তাহ ধরে গ্রীসের মর্গে পড়ে থাকা ফয়সলের লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফয়ছলের ছোট ভাই রাজিমুল এহসান জায়গীরদার রুজেল ও ফয়ছলের সহযাত্রী এক যুবকের বরাত দিয়ে জানান-গত ০৪ ফেব্রুয়ারি ফয়ছলসহ কয়েকজন গ্রীসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে গ্রীসের সীমানায় পৌঁছলে, ০৭ ফেব্রুয়ারি গ্রীসের সময় বেলা ২ টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সহযাত্রীরা মুঠোফোনে মৃত দেহের সাথে ওই স্থানটির ছবি তুলেন। গত ০৯ ফেব্রুয়ারি সহযাত্রীরা ফয়ছলের বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদটি জানিয়ে সেখানে তোলা ছবিগুলো পাঠান।