বিয়ানীবাজারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৬:৩১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। কৃষকদের অভাবের সুযোগে এসব মাটি কিনে নিয়ে ইট তৈরির কাজে লাগানো হচ্ছে। এতে দিনদিন ওই এলাকার ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে ফসল উৎপাদন কমার পাশাপাশি বহু কৃষক বেকার হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া মাটি কাটায় পরিবেশও পড়েছে হুমকির মুখে।
মাটিবোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় বিয়ানীবাজার-সিলেট মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সড়কগুলোর দূরবস্থার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। এসব মাটি বোঝাই ট্রাকের কারণে বিয়ানীবাজার-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার শেওলা সেতুর পাশে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোতে আশপাশের ফসলি জমি থেকে মাটি আনা হচ্ছে। প্রতিদিন ৪-৫টি ট্রাক্টর বিরতিহীন এই মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত। মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমি থেকে কাটা মাটি যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইটভাটায়। এ ছাড়া উপজেলার চারখাই, মুড়িয়া, শেওলা, দুবাগ, মাথিউরা, তিলপাড়া এলাকায় ফসলি জমি থেকে ট্রাকে করে মাটি হচ্ছে। মাটি পরিবহনের জন্য সরু সড়ক দিয়ে চলছে মাটি ভর্তি ওভারলোডেড ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর। মাটিবোঝাই ট্রাকগুলো চলার কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। রাস্তার পাশে ফসলি জমির ওপরে পড়ে আছে ধুলোবালির আস্তরণ। ফসলি জমি থেকে সড়কে ট্রাক্টর ও ট্রলি ওঠানামার জন্য যত্রতত্র পাকা সড়ক ও কাঁচা সড়কের পাশ কাটা হচ্ছে।
সিএনজি অটোরিকশাচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়ক দিয়ে মাটিবোঝাই ট্রাক-ট্রাক্টর চলাচল করায় সড়কের পিচ উঠে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ভাঙা সড়কে চলাচলের কারণে যানবাহনেরও ক্ষতি হচ্ছে।
সাবেক ছাত্রনেতা কাওছার আহমেদ বলেন, বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে মাটি ভর্তি ট্রাক-ট্রাক্টর চলার কারণে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন কাজ করা সড়কটি নষ্ট হচ্ছে। রাস্তার ওপর যে পরিমাণ মাটি পড়ছে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য সরকার এবং সাধারণ জনগণের এতবড় ক্ষতি মেনে নিতে পারি না। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।