ভালোবাসা দিবস নাকি অশ্লীলতা?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৩:৪০ অপরাহ্ণ
সুজ্জল আহমেদ:
“ফুল ফুটক না ফুটক আজ বসন্ত ” অথবা নিউজফিডময় সারাদিন চলবে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা দয়া করে এগুলো বন্ধ করুন ? প্রকৃতি তার রঙ বদলায় সময়ে সময়ে আমরা কতটুকু পরিবর্তন হয়েছি তা সময় বলে দিচ্ছে। সস্তা আবেগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো আজকাল বস্তা বানিয়ে দিচ্ছি আমরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব উদ্ভিদের সময়ের বেশ আগেই ফুল ফোটে, তাদের প্রজননে ঝুঁকি থাকে।আজকাল ভালোবাসা দিবসে কি হয় তা কিন্ডারগার্টেন এর শিশুরা ও জানে, ভালোবাসতে দিনক্ষণ ঠিক করে করতে হয় না এটা সবসময় বিদ্যামান।
পশ্চিমা সংস্কৃতির রাহোর গ্রাস ও শনিরদশা সব আমাদের লিভ টু গেদার প্রজন্মকে গ্রাস করেছে। ধর্মীয় অনুশাসন বিধিবিধান তেকে হাজার মাইল দূরে আমরা। ভালোবাসা দিবসের নামে প্রকাশ্য দিবালোকেও বেহায়াপনাগুলো দেখে রীতিমত বিব্রতবোধ করার মানসিকতা আমাদের নেই এইগুলো নাকি আধুনিকতা আহারে আধুনিকতার নাম করে অসংলগ্নতা সুস্পষ্ট। আজকাল ১৪ই ফেব্রুয়ারীর চলে আসলে দেখা যায় পার্ক, স্কুল, কলেজ, হোটেল মোটেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন নিয়ন্ত্রণহীন বাসের মত হয়ে যায়। কাউকে ভালোবাসা পাপ না কিন্তু পবিত্রতা নষ্ট করা পাপ যা হয়তো আর ফিরিয়ে আনা চাঁদ স্পর্শ করার সমান হয়ে যায়।
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস, ভালোবাসার প্রয়োজন কোনো এক দিবসের জন্য নয়, প্রতিটি দিবস, প্রতিটি রজনী, প্রতিটি ক্ষণ ভালোবাসার দাবি রাখে। ভালোবাসায় প্রকাশ হতে পারে ভিন্ন, তবে ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তায় কোনো ভিন্নতা নেই। মানুষ মানুষকে ভালোবাসুক, ভালোবাসুক পশুপাখি, গাছ লতা, প্রকৃতি আর পৃথিবীকে। প্রতিটি দিবস হোক ভালোবাসা দিবস। ভালোবেসে ভালো রাখুক সবাইকে সবাই।
লেখক: সুজ্জল আহমদ, “অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফ্রিলান্সার “
(সুরমানিউজ এর পাঠককলামে প্রকাশিত সব লেখা পাঠক কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত। এই সংক্রান্ত কোনো ধরনের দায় সুরমানিউজ বহন করবে না।)