সিলেটে ওসির কবুতরপ্রেম, থানাভবনে জালালী কবুতরের মিলনমেলা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ৫:১৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা ভবনের কার্নিশজুড়ে জালালি কবুতরের মিলনমেলা। জোড়া-জোড়া কপোত-কপোতী। গাছের ডালে কিংবা ভবনের উপরে বসছে। বাকুম বাকুম শব্দে মুখরিত পুরো জৈন্তাপুর থানা কম্পাউন্ড। থানার মুল ভবন, সার্ভিস ডেলিভারি ভবন, অফিসার ইনচার্জ বাসভবনসহ ভবনগুলোতে বাসা বাদায় অগণিত ব্যস্ত কবুতর দম্পতি। শীতকাল তাদের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় মৌসুম তাই বাসা, বাড়ি ভবন সমুহে এ সময়ে তাদের বাড়তি আনাগোনা।
জৈন্তাপুর মডেল থানায় এসময়ে তাদের উপস্থিতি ও আনাগোনা চোখ এড়ায়নি থানা অফিসার শ্যামল বনিকের। তার উদারতায় থানা কম্পাউন্ডে ইতিপূর্বে স্থান হয়েছে অগণিত জোড়া কবুতরের। তার নিজস্ব উদ্যোগে গত ১৫ দিনে অন্তত বাসা পেয়েছে ৩০ জোড়া কবুতর।
তার এ প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে, প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে একেকটি বাসা তৈরী করে তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন। মানবতরা এমন নজির তৈরী করে তিনি বাহবা কুড়াচ্ছেন জনসাধারণেরও। দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি সোহেল আহমদ জানান সিলেটজুড়ে জালালি কবুতুর একটি ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রজননকাল শীত মৌসুমে তাদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।
জৈন্তাপুর মডেল থানায় এরকম অগণিত জালালি কবুতরের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তাদের বাসা তৈরী করে আশ্রয় দিয়ে মানবতাবোধের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত করেছেন তিনি। জৈন্তাপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক জানান, জনশ্রুতি রয়েছে ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহজালাল(রঃ) ও ৩৬০ আউলিয়ার সফরসঙ্গী ছিলো জালালি কবুতুর।
এ কারণে জালালি কবুতরের প্রতি সিলেটসহ সারা দেশের মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা। তাদের আশ্রয় দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। থানা ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের কার্নিশে তাদের বাসা বাধার চিত্র চোখে পড়ার পর আমার নিজ উদ্যোগে তাদেরকে খুপ বানিয়ে দিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটা সম্ভব তাদের আবাসস্থল করে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।