গোলাপগঞ্জে সরকারি রাস্তা কেটে দেয়াল তুলার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নে হাজীপুর ঘনশ্যাম এলাকার সরকারি রাস্তা কেটে পাকা দেয়াল তুলার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাজীপুর ঘনশ্যাম এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র ওলিউর রহমান সোমবার (২৭জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেয়াল নির্মানের কাজ বন্ধ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একই গ্রামের মৃত আব্দুল হকের পুত্র খালেদ আহমদ হক সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাজমিস্ত্রি লাগিয়ে রাস্তা কেটে পাকা দেয়াল তুলার চেষ্টা করেন। এসময় ওলিউর রহমানসহ এলাকার লোকজন রাস্তা কেটে দেয়াল তুলতে বাধা প্রদান করলে খালেদ আহমদ হক তাদের হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও এ রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীর আদালতে একটি মামলা (মামলা নং-২৮/২০১৬ইং) চলমান রয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এলাকার বাসিন্দা হাফিজ আব্দুল হাকিম জানান, আব্দুল হকের পুত্র খালেদ আহমদ হক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা বেগম দীর্ঘদিন থেকে হাজীপুর ঘনশ্যাম এলাকার বাসিন্দাদের মামলা হামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। গত কয়েকদিন আগে সুরমা ডাইকে থাকা একটি সরকারি কালভার্টের পানি প্রবাহিত হওয়ার পথ বন্ধ করে পুকুর করেছে খালেদ আহমদ হক।
মাহবুবুর রহমান নামের আরেক বাসিন্দা জানান, খালেদ হক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ঘনশ্যাম এলাকাবাসীর শান্তি কেড়ে নিয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তির কাটিয়ে তারা এলাকাবাসীর চলার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমরা এলাকাবাসী এ থেকে রক্ষা চাই।
ইসমাইল হোসেন সিপার জানান, টাকার জোরে এলাকার নিরীহ জনগণকে খালেদ হক বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। তার এসব আচরণে এলাকাবাসী আজ অসহায়। তিনি উপজেলা প্রশাসন সহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে খালেদ আহমদ হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আমার জায়গা কেটে দেয়াল নির্মান করতেছি। দেয়াল নির্মানের আগে উপজেলার একজন সার্ভেয়ার আমায় সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর আলোকেই আমি দেয়াল নির্মান করছি।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্য মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দেয়াল নির্মানের কাজ বন্ধ রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী মামুনুর রহমান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামের রাস্তাটা এলজিইডির আওতাধীন। আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে এ বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিয়েছি।