সিলেটে এখনো পেঁয়াজে ‘অস্বস্তি’
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
কমেও যেনো কমছে না পেঁয়াজের দর। কয়েক দফা দাম বাড়ায় মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেয় পেঁয়াজ। এই একটি নিত্যপণ্যের আগুন দামে দিশেহারা ছিলেন ক্রেতারা। ভয় জাগানিয়া সেই রেশ এখনো কাটেনি।
সিলেটের পেঁয়াজের দাম কমতে গিয়েও যেন থমকে আছে। মাস কয়েক আগেও সিলেটের বাজারে ২০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ আড়াইশ’ পেরোয়। মাঝে কিছুদিন দাম কমে এলেও এখন থমকে আছে শতকের কোঠায়। বাজারে ভালো পেঁয়াজের কেজি এখনো শতকের ঘর ছাড়িয়ে। কেবল মিশরের আমদানি করা বড় আকারের পেঁয়াজ সিলেটের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
এ অবস্থায় আবারো দাম বাড়ার ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে সিলেটের বাজারে। ফলে পেঁয়াজ আতঙ্ক কাটেনি এ মহানগরে। আর বাজারে পেঁয়াজের দাম আশানুরূপ না কমায় মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের এখনো দীর্ঘ সারি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ট্রাকের পেছনে।
নগরের লামাবাজার এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ ও মিজানুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের দাম বাজারে এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। ফলে টিসিবি’র পেঁয়াজে ভরসা করে চলছেন তারা।
নগরের রিকাবিবাজার টিসিবি’র লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সুনামগঞ্জের বাসিন্দা রিকশা চালক জুয়েল আহমদ বলেন, তিনি নগরের কালিবাড়ি এলাকায় থাকেন। পেঁয়াজ দিচ্ছে দেখে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। আর বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম বেশি। গাড়িতে (টিসিবি’র ট্রাকে) ৩৫ টাকা করে বিক্রি করছে।
সিলেট নগরের রিকাবিবাজারের মা স্টোরের ব্যবস্থাপক সুদীপ্ত রায় বলেন, এলসি’র পেঁয়াজের দাম বেশি, নতুন পেঁয়াজ এলেও দাম শতকের কাছাকাছি। কেবল মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম।
পুলিশ লাইন এলাকার মোহন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোহন পাল বলেন, প্রকারভেদে এখনো ৭০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দামের পার্থক্যও ৫/৭ টাকা মাত্র।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সিলেটের বাজারে এলসি’র পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা কেজি, মিশরের ৭০ টাকা কেজি, ভারত থেকে আমদানিকৃত ছোট পেঁয়াজ ৮০ টাকা এবং দেশি নতুন পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিপরীতে টিসিবি ট্রাকে করে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
টিসিবি সিলেটের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ইসমাইল মজুমদার বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় সিলেটে এখনো প্রতিদিন ৫টি গাড়িতে করে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তাদের হাতে এখনো দেঁড়শ’ টন পেঁয়াজ মজুত আছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আরো ১১০ টন আসবে। এ যাবত গত কয় মাসে প্রায় ২ হাজার ৪শ’ টন পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। বাজারে চাহিদা আছে, তাই বিক্রি হচ্ছে। আর একদিন গাড়ি না থাকলে মানুষের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়।