পর্তুগালের ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি; ঘটনাটি রাজনৈতিকও নয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১:৫৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
গতকাল পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অভিবাসী বাংলাদেশীদের দু গ্রুপের মধ্যকার সৃষ্ট সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ ও দু’জন ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও কেউ নিহত হয়নি। এমনকি এই ঘটনা কোন রাজনৈতিক বিরোধও নয়। পর্তুগাল বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী ও পর্তুগাল আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ফরহাদ মিয়ার মধ্যকার দীর্ঘদিনের ব্যাক্তিগত বিরোধের চূড়ান্ত প্রকাশই হচ্ছে এই সংঘর্ষ। এই দুই ব্যাক্তি দুটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামীগ ও বিএনপির স্থানীয় নেতা হলেও এই ঘটনা রাজনৈতিক নয়। বরং উভয় দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা বিষয়টি মীমাংসায় দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু ঘটনার পরপরই একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন মাধ্যমে আওয়ামীলীগ বিএনপির মধ্যকার সংঘর্ষ ও একজন নিহত হওয়ার খবর প্রচারে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। এমন ভূয়া খবরে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের আত্নীয় স্বজন উদ্ধিগ্ন।
লিসবন সিটি সেন্টারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের চেয়ারম্যান রানা তাসলিম উদ্দিন পর্তুগাল সময় বিকাল ৩ ঘটিকায় ফোনের মাধ্যমে বলেন, ” কিছুক্ষণ আগেও আমি লিসবনের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে দু’জন গুলিবিদ্ধ ও দু’জন চুরিকাহত হলেও কেউ মারা যায়নি। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকামুক্ত এবং একজন কিছুটা ক্রিটিক্যাল। “।
স্থানীয় প্রবাসী আজাদ আহমদ ফোনে বলেন, এমন ঘটনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আতংক ছড়িয়ে পড়লেও স্থানীয় প্রশাসন শক্ত হাতে তা মোকাবেলা করছে। এমন কান্ডে অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ কঠিন হয়ে যেতে পারে এবং তা বাংলাদেশের জন্য লজ্জা।