সুনামগঞ্জে শিশু তোফাজ্জল অপহরণ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এসপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে সাত বছর বয়সী শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের রহস্যজট খুলতে এবার তদন্তে নামলেন পুলিশ সুপার নিজেই।
সোমবার সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সরেজমিন উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামে এসে নিহত তোফাজ্জলের প্রতিবেশী ও নিকটাত্ময়ীদের বসতঘর হতে রক্তমাথা লুঙ্গি, সোফায় ব্যবহৃত বালিশের ওপরের কাপড়ের দুটি তোয়ালে জব্দ করেন।
কারাগারে থাকা সন্দেহভাজন আসামি উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের হবিবুর রহমান হবির ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেলের শয়ন কক্ষ হতে এ সব আলামত জব্দ করা হয়।
এর আগে লাশ উদ্ধারের দিন রাসেলের শয়নকক্ষে থাকা খাটিয়ার বিছানার নিচ থেকে চিরকুট লেখার খাতাটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় হবিবুর রহমান হবি তার ছেলে রাসেল নিহত তোফাজ্জল ফুফু শিউলি ফুফা সেজাউল করিম,সেজাউলের পিতা কালা মিয়া, শিউলির দুই ভাই সালমান হোসেন ও লোকমান হোসেন জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এ দিকে থানা পুলিশের আবদনের প্রেক্ষিতে সোমবার চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক শুভদ্বীপ পাল কারাগারে আটক সাত আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর মধ্যে নিহত তোফাজ্জলের ফুফু শিউলি, ফুফাত ভাই সারোয়ার হাবিব রাসেলের পাঁচদিন এবং অন্য পাঁচ আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, আসামিদের কারাগার হতে সোমবার রাতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাহিরপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামের জুবায়ের হোসেনের শিশু সন্তান তোফাজ্জল হোসেন (৭) নিখোঁজ হয়। পরদিন এ ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ হতে লিখিতভাবে থানায় জানানো হয়। শনিবার ভোররাতে উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে সিমেন্টের বস্তায় বন্দি অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।-যুগান্তর