সিলেটে বাসায় রেখে কিশোরীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক এবং নির্যাতন
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০১৯, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট নগরীর উপশরে নবীগঞ্জের এক কিশোরী (১৭) কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করায় কিশোরীটি ৩ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়েয়ে পড়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন মিয়া (২২) এর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও বিয়ের জন্য চাপপ্রয়োগ করায় ওই কিশোরীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে ওই লম্পট। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিতা ওই কিশোরীর জানায়, উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত উরুস আলী ছেলে হুমায়ুন মিয়া (২২) সিলেট উপশহর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। প্রায় ৮ মাস পূর্বে হুমায়ুন মিয়া কাজ দেয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে যায় তাকে।
পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে সর্ম্পক গড়ে তোলে। চলে দীর্ঘ দিন দৈহিক সম্পর্ক । এক পর্যায়ে সে অন্তসত্তা হয়ে পড়লে হুমায়ুনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি হুমায়ুন। সে তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার পরামর্শ দেয়। এর পর গর্ভ নষ্ট না করায় হুমায়ুন তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
গত শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে মেয়েটি আবারো বিয়ের জন্য চাপ দিলে হুমায়ুন তার কক্ষে বেঁধে তাকে মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সে গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে (১৮ আগস্ট) রোববার ভোরে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্টের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় হুমায়ুন।
এসময় স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে উপজেলার মিছকিনপুর গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সোমবার সকালে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতারে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতার মা ছায়ারুন বেগম বলেন, আমাদের দারিদ্রতার সুযোগে হুমায়ুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের সাথে প্রেমের সর্ম্পক স্থাপন করেছে। এর পর যা হলো- মেয়েটি আমার ৩ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছে। এখন আমি ওই মেয়েকে নিয়ে কই যাই। আমি এ ঘটনার সুষ্ট বিচার চাই।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।