ওসমানীনগরে দুই মাসেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক, মামলা উঠিয়ে নিতে আসামীদের হুমকি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ আগস্ট ২০১৯, ৪:২৫ অপরাহ্ণ
ওসমানীনগর প্রতিনিধি :
সিলেটের ওসমানীনগরে ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি ধর্ষণ মামলার অপর আসামী। চলতি বছরের ১৮ জুন রাতে উপজেলার কালনীচর (আব্দুল্লাপুর) গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভিকটিমের মামা বাদি হয়ে ২১ জুন থানায় একটি মামলা (০৯) দায়ের করেন। মামলার পর পর আসামী জুনেদ মিয়াকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অপর আসামী পলাতক রয়েছে। এদিকে থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন মামলটি উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। বর্তমানে বাদী ও বাদীর পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
বাদী ও মামলার সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা যুবতী ও তার মা প্রায় ১৪ বছর ধরে কালনীচর গ্রামে মামার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। আসামীরা ঘটনার পূর্বে বিভিন্ন সময় উক্ত যুবতীকে দেখে বিভিন্ন রকমে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শণ করতো। চলতি বছরের ১৮ জুন রাতের খাবার শেষে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পরে। ঐ রাত ১টার দিকে যুবতীর বসত ঘরে বাশেঁর দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে উপজেলার সাদীপুর ইউপির কালনীচর গ্রামের ইমান উদ্দিনের ছেলে ফাজিল মিয়া (১৯) ও মৃত আলফু মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়া (১৯)। আসামীরা যুবতীকে মুখে চাপ দিয়ে ধরে ঘরের বাহিবে নিয়ে ধর্ষন করে ফাজিল ও জুনেদ। এক পর্যায়ে যুবতীর চিৎকারে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায় এবং আহত অবস্থায় যুবতীকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে নির্যাতিতা যুবতীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। উক্ত ঘটনায় নির্যাতিতা যুবতীর মামা বাদী হয়ে ২১জুন ফাজিল মিয়া ও জুনেদ মিয়াকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার পর পর জুনেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হলেও আজ পর্যন্ত অপর আসামী ফাজিল মিয়াকে গ্রেফতার করতে পরেনি থানা পুলিশ।
ভিকটিমের মামা আব্দুল মন্নান জানান, মামলার পর থেকে আসামী ফাজিল মিয়ার ভাই আরজু মিয়া ও তাদের আত্মীয় আফছর মিয়া মামলা উঠিয়ে নিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। কিছুদিন আগে আরজু মিয়া আমার বাড়িতে এসে হামলা করে। ফলে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ-পরিদর্শক গৌতম সরকার জানান, মামলার বাদীকে হুমকি-দামকীর বিয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।