নবীগঞ্জে ছাতল বিলের ইজারা নিয়ে তোলপাড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ আগস্ট ২০১৯, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ভড়ারী মৌজায় অবস্থিত ছাতল বিলের ইজারা নিয়ে শুরু হয়ে তোলপাড় । সোমবার (১৯আগস্ট) দুপুরে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিজনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে ছাতল বিলের ইজারা দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিলের ইজারাকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে বিজনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে কিম্মত মিয়াসহ অন্যান্য ১৩ সদস্য ও মৃত এক সদস্যের জাল স্বাক্ষর করে ইজারা ডাকে অংশগ্রহনের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল ও সরেজমিনে তদন্তে তদন্ত কমিটি জাল স্বাক্ষর প্রদানের সত্যতা পাওয়ার পরও বিজনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে ছাতল বিলের ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্তে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিজনা মৎসজীবি সমবায় সমিতির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও অভিযোগকারীদের না জানিয়ে তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সমিতির অন্যান্য সদস্যরা জলমহাল ইজারা ডাকে অংশ নেয়। ইজারা ডাকের বিষয়ে কিছু তারা জানেনা বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও জলমহাল সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় জড়াতে চান না দাবী করে অভিযোগে আরো বলা হয় ক্ষতিপয় মহল বছরের পর বছর ধরে তাদেরকে কোনো ধরণের মুনাফা না দিয়ে জলমহাল ভোগ করে আসছে। তাই জলমহাল ইজারায় অভিযোগকারী সমিতির সদস্যরা অংশ গ্রহণ করতে রাজি নয় বলেও উল্লেখ করেন। এদিকে অভিযোগ দাখিলের পর ১৬ জুলাই সরেজমিনে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলাম । প্রতিবেদনে স্বাক্ষর জাল করার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয় ।
বিজনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্য রুহেল মিয়া বলেন, আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে কিছু লোক অবৈধ পন্থায় ইজারা নিয়ে বিল ভোগদখলের ষড়যন্ত্র করছে এটা কোনো ভাবেই হতে দেয়া হবেনা।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থা কমিটির সভাপতি তৌহিদ-বিন হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের জন্য সমবায় অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করি, পরে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদান করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী সমবায় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।