লাখাই-বামৈ ৬ কি. মি. সড়কে ভোগান্তি, আভুরা সড়ক নির্মানের দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ আগস্ট ২০১৯, ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ
লাখাই প্রতিনিধি :
লাখাই উপজেলার লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ডিসি সড়কটি গুরুত্বপূর্ন একটি সড়ক। ব্যবসা- বানিজ্য, যাতায়াতসহ বিভিন্ন কারনে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করতে পারে এ সড়কটি। কিন্তু রাস্তাটি আডোবা হিসেবে নির্মান না হওয়ায় হাজার হাজার জনগনের দুর্ভোগ চরমে । শুকনো মৌসুমে এ সড়কে যাতায়াত করে লাখাই ১নং ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর, আমানুল্লাহপুর, মাহমুদপুর, চিকনপুর, রুহিতনসী, স্বজনগ্রাম, সন্তোষপুর, কৃষ্ণপুর, কামালপুর গ্রামের হাজারো মানুষ। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার মানুষের যোগাযোগ ও অন্যান্য কারনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সড়কটি। লাখাই গ্রামের অধিকাংশ লোক ঢাকায় ব্যবসা-বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ঢাকার সাথে তাদের একটা আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
লাখাই উপজেলার বলভদ্র নদীর উপর মাননীয় এমপি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রীজ নির্মিত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ফলে হবিগঞ্জ জেলার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠছে লাখাই- নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক। তাই লাখাই-বামৈ সড়কটি বিভিন্ন কারনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। বর্ষা মৌসুমে এলেই পানিতে তলিয়ে যায় লাখাই ডিসি সড়ক। এর ফলে নৌকা হয়ে উঠে ভাটি অঞ্চলের একমাত্র বাহন। শুকনো মৌসুমে ১০-১৫ টাকায় লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে ১০ মিনিটে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই গন্তব্যে পৌঁছতে ৩০ টাকা লাগে এবং সময় লাগে ১ ঘন্টা বা তার বেশি।
নৌকার মাঝিরা যাত্রী পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে নৌকা ভিড় করেন। এতে সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের যারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যায়। তাছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য তা হয়ে ওঠে মৃত্যুপুরী। সন্ধ্যা হলে গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীদের গুনতে হয় ৩০০- ৫০০ টাকা। তখন যাত্রী নেই ও একা নেওয়া যাবেনা এই অজুহাতে আদায় করে অতিরিক্ত ভাড়া। তাই জনমনে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর পক্ষে দাবি উঠছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে লাখাই-বামৈ সড়কটি আডোবা হিসেবে নির্মান করা হোক।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শরিফ উদদীন তালুকদার জানান, মাননীয় এমপি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির মহোদয় হবিগঞ্জ-লাখাইয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন যা অন্য কোনো এমপি স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত করতে পারেনি। তাই তার কাছে লাখাইবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই সড়কটি সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শীঘ্রই আডোবা করা হোক।
লাখাই ১নং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আইয়ুব রেজা ইমরান জানান, এই রাস্তাটি আডোবা নির্মান হলে লাখাই ১নং ইউনিয়ন বাসী পর্যাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা পাবে।