নবীগঞ্জে অনৈতিক সম্পর্কের জের : ধর্ষকের নির্যাতনে গৃহকর্মী হাসপাতালে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০১৯, ৫:৫০ অপরাহ্ণ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
নবীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কাজের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩মাসের অন্তঃসত্তা কিশোরী (১৭) গৃহকর্তার নির্যাতনে গুরুতর অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি গৃহকর্মী। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত উরুস আলী ছেলে হুমায়ুন মিয়া (২২) সিলেট উপশহর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। প্রায় ৮মাস পূর্বে হুমায়ুন মিয়া নিজ গ্রামের পার্শবর্তী এলাকার উক্ত কিশোরীকে তার বাসায় গৃহকর্মীর কাজের জন্য উপশহরের বাসায় নেন। এক পর্যায়ে মেয়েটির সাথে প্রেমের অভিনয় করে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন হুমায়ুন মিয়া। কয়েক মাসে একাধিক বার ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মেয়েটি বিয়ের জন্য একাধিকবার গৃহকর্তাকে চাপ দিলে তিনি গর্ভ নষ্ট করার পরামর্শ দেন। কিন্তু মেয়েটি গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে অনিহা প্রকাশ করলে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু হয়। সর্বশেষ শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে মেয়েটি আবারো বিয়ের জন্য চাপ দিলে গৃহকর্তা তার শয়ন কক্ষে বেঁধে মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেয়েটিকে তার গ্রামের বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাস্তায় রেখে গৃহকর্তা হুমায়ূন মিয়া পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। গতকাল রোরবার সকালে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিশোরী মেয়েটি বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কিশোরী গৃহকর্মীর মা ছায়ারুন বেগম বলেন, আমাদের দারিদ্রতার সুযোগে হুমায়ুন মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্তা হয়। হুমায়ুন মিয়া আমার মেয়ের গর্ভ নষ্ট করার জন্য তার উপর অমানবিক নির্যাতন করায় সে গুরুতর আহত অবস্থায় এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমার মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে না পারি এর জন্য অভিযুক্তকরীর লোকজন হাসপাতালে তৎপর রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।