পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় হতে পারে দৃষ্টিনন্দন ডরমিটরি লেক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয় হতে পারে দৃষ্টিনন্দন ডরমিটরি লেক। এটি কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের তিন নম্বর গেট বাগমারা ক্যাম্প সংলগ্ন লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমিটরির পিছনে অবস্থিত। লোকচক্ষুর অন্তরালে পাহাড়ের বুকে এ লেকটি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। ঝোঁপ-ঝাড়ে ভর্তি উঁচু নিচু পাহাড়ের বুকেই দেখা মিলে জলে পরিপূর্ণ দৃষ্টি নন্দন এই ডরমিটরি লেক।
জানা যায়, ডরমিটরি লেকটির আয়তন প্রায় ছয় একর। বন্যপ্রাণির খাবারের পানি সংকট নিরসনের জন্যই এ লেকটির উৎপত্তি। এটি মূলত প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি, তবে স্বল্প গভীরতা ও লেকের এক পাশে বাঁধ না থাকার কারণে লেকটি শুকনো মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে যেত। সেই সময় বন্যপ্রাণির খাবারের পানির তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় ২০১৬ সালে বন বিভাগের আর্থিক সহযোগিতায় লেকটি খনন করা হয় এবং এক পাশে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি লেকটি পরিপূর্ণ থাকে যা শুকনো মৌসুমেও বন্যপ্রাণির জন্য একমাত্র জলের উৎস হিসেবে কাজ করবে।
লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমিটার লেকটির সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করার জন্য বিজিবি ২০১৭ সালে প্রায় ২৫ হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা রোপণ করে। তারা জলে পরিপূর্ণ লেকটির উপর দিয়ে এক টিলা থেকে অপর টিলায় যাওয়ার জন্য তৈরি করেছে দৃষ্টিনন্দন বাঁশের সাঁকো। যা পর্যটকদের আরও আকর্ষণীয করে তুলেছে।
পরিবেশবাদীরা বলেন, ইকো ট্যুরিজম (পরিবেশ বান্ধব পর্যটন) আদলে লেকটি উন্নয়ন করলে যেমন পরিবেশের প্রতি প্রভাব ফেলবে না তেমনি ভ্রমণ পিপাসু প্রকৃতিপ্রেমীরাও প্রকৃতি উপলব্ধি করতে পারবেন।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, মৌলভীবাজার এর বিভাগীয় বন সংরক্ষক শামসুল মোহিত চৌধুরী বলেন, লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমিটরি লেকের উন্নয়নের জন্য আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। লেকটির চার পাশ দিয়ে হাঁটার জন্য একটি ট্রেইল পথ তৈরি করা হবে। সেই সাথে লেকের উপর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করার পরিকল্পনা চলছে।