সিলেট আসা লন্ডন প্রবাসীদের ভোগান্তি, বাড়ছে বিমানের লোকসান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০১৯, ১০:৪১ অপরাহ্ণ
একমাত্র বিমানই লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেটে অবতরণ করে তাই ঈদসহ বিভিন্ন ছুটিকালীন সময়ে ব্রিটেন প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে বিমান। চাহিদার কথা চিন্তা করে গেলো ডিসেম্বরে এই রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা দুই মাসের জন্য করা হয়েছিলো ছয়টি।
এবারের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদের সময়েও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি ছিলো প্রবাসীদের। তা তো হয়নি উল্টো হজ্ব ফ্লাইটের কারণ দেখিয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট বিমানে এই রুটের ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
ফলে, গত ৫ জুলাই থেকে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬২১৬ জন যাত্রী কম পরিবহণ করবে বিমান। আর এই সময়কালীন স্থান সংকুলান না হওয়ায় কার্গো কম যাচ্ছে ২৫২ টন, যাতে বিমান হারাচ্ছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকার রাজস্ব।
জেনারেল কার্গো ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিঠু পাল বলেন, ‘হঠাৎ করে যখন ফ্রিকোয়েন্সি ছোটো হয়ে গেলো ড্রিম লাইনার ছোট হয়ে এলো। তখন সার্ভিসটা মডার্ন হয়েছে কিন্তু মাসে ১০০ টন মাল বিমানকে কম দিতে পারছি।’
হিলসাইড ট্রাভেলস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন খান বলেন, ‘সপ্তাহে সাড়ে ৫০০ সিট কম। মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিন্তা করা উচিত ছিলো।’
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-লন্ডন রুটে সপ্তাহে ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করার সিডিউল ঘোষণা করেছিল বিমান। এরপর আধুনিক সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে টিকেট বিক্রি করে দুই মাসের মধ্যেই তা থেকে সরে আসতে হয় বিমান বাংলাদেশকে। বিমান কর্তৃপক্ষের নানা সমন্বয়হীনতার কারণে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে।
একসময়ে ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুট চালু থাকলেও তা বন্ধ আছে। ম্যানচেস্টার রুটে ২০১১ সালের দোসরা নভেম্বর বিমানের প্রথম ফ্লাইট চালু হয়েছিলো। লাভজনক থাকা সত্তেও সেটি বছর না যেতেই ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধ করে দেয় বিমান।