বিয়ানীবাজারে বৃদ্ধ খুন, রংপুরে ধরা পড়ল ‘খুনি’
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০১৯, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বিয়ানীবাজারের চারখাই ইউনিয়নের দিঘীরপাড়ের আলোচিত বৃদ্ধ মনির উদ্দিন হত্যা মামলার দীর্ঘ ৬মাস পর ধরা পড়েছে হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. নাসির মিয়া ওরপে নাসির উদ্দিন মন্ডলকে (৩৫)। ঈদের আগেরদিন ১১ আগস্ট রংপুরের পানিছড়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া নাসির রংপুরের ঈশ্বরপুর এলাকার মৃত মো. মোক্তার মিয়া ওরপে মোক্তার মন্ডলের ছেলে। ধৃত আসামি মঙ্গলবার (১৩আগস্ট) সিলেটের আদালতে বৃদ্ধ মনির আলী হত্যা ও চুরির দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে সিলেট জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আমিনুল ইসলাম প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-মনির আলীর বাড়িতে দৈনিক ৪শ’টা রোজে দিনমজুরের কাজ করত আসামি মো. নাসির মিয়া ওরপে নাসির উদ্দিন মন্ডলকে (৩৫)। প্রায় দুই মাস কাজ করার পর আসামি বেতনের টাকা চাইলে উদ্দিন তাকে দুই হাজার টাকা দেন এবং পরে বাকী টাকা দিবে বলে জানায়। এতে গৃহকর্তা মনিরের উপর নাসিরের রাগ হয় এবং মনে মনে বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরী করে কিভাবে বাড়ি থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়া যায়। ঘটনার দিন ৯ ফেব্রুয়ারি মনির উদ্দিনের স্ত্রী মেয়েসহ তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। আসামীর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সেই সুযোগে আসামি নাসির মিয়া ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মনির উদ্দিনকে রাতের খাবার শেষে ৬টি এভিল ট্যাবলেট গুড়া করে গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করায় । এতে মনির উদ্দিন ঘুাময়ে পড়েন। এ সুযোগে আসামি নাসির মিয়া ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসা থেকে একটি গ্যাসের চুলা, একটি কারেন্টের চুলা, একটি ম্যাগনেট র্টচ লাইট, একটি এলইইড টিভি ও নগদ ১লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ট্যাবলেট সেবনের কারণে পরবর্তীতে মনির উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মো. নাসির মিয়া ওরপে নাসির উদ্দিন মন্ডলকে (৩৫) আসামি করে বৃদ্ধের স্ত্রী বৃদ্ধের স্ত্রী লাকি বেগম বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-০৮(০২)১৯) দায়ের করেন।
এ মামলায় আসামি মো. নাসির মিয়া ওরপে নাসির উদ্দিন মন্ডলকে (৩৫) ১১ আগস্ট রংপুর থেকে গ্রেফতার করে বিয়ানীবাজারে নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হলে আসামি ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ কর। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।