বালাগঞ্জ মাদ্রাসার কুরবানীর চামড়া বিক্রি না হওয়ায় ফেলে দেওয়া হল নদীতে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০১৯, ৮:৩২ অপরাহ্ণ
রজত দাস ভুলন,বালাগঞ্জ থেকে:
কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার পাইকার না পাওয়ায় বালাগঞ্জে কুৃশিয়ারা নদীতে চামড়া ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ করেছে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা। এমন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রায় অনেক জেলায়। চামড়া কেনার লোক না পাওয়া যাওয়ায় সারাদিন রাত পাহারা দিয়ে অপেক্ষার পর বাধ্য হয়েই চামড়া নদীতে ফেলে দেন।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বালাগঞ্জ ফিরোজাবাগ মাদ্রাসা ১১৯টি চামড়া, বালাগঞ্জ মহিলা মাদ্রাসা প্রায় ১০০টি, তিলকচানপুর আদিত্যপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ৩৪টি, নতুন সুনামপুর মাদ্রাসা ৭০টি ও দক্ষিণ গৌরীপুর মাদ্রাসায় ২৭টি চামড়া নদীতে ফেলে দেন।
ফিরোজা বাঘ মাদ্রাসার মুহতামিম মাও: আব্দুল মালিক (দা:বা:)ও মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাও: আব্দুল বাতিন বলেন, গত কাল থেকে পশুর চামড়া মাদ্রাসার রাস্তায়, এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করছে বাসা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না দুর্গন্ধে। এমতাবস্থায় গর্তে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নাই। গত সোমবার বিকেল বেলা একটা লোক আসছিল এসে ১৫০টাকা বলে চলে গেছে তার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগের কোন মাধ্যমও পেলাম আর লোক টাও ছিল অপরিচিত।
তারা আরো বলেন, জানিনা কেন গরীব ও এতিম বাচ্চাদের হক নষ্ট করছে চামড়া সিন্ডিকেট করে। যে বা যারা এরকম অসাধুতা করছেন কাল ময়দানে হাশরে হিসাব দেওয়া লাগবে। এতিমের হক নষ্ট করছেন আল্লাহ তার বিচার অবশ্যই করবেন। এছাড়া আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফিরোজা বাগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাও: আব্দুল মালিক (দা:বা:),মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাও: সা’দ উদ্দিন (দা:বা:)ফিরোজা বাগ মাদ্রারার শিক্ষা সচিব, মাও ফয়েজ আহমদ, মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাও: আব্দুল বাতিন, সিনিয়র শিক্ষক মাও: আব্দুশ শহিদ, মাও: আবুল কালাম, মাও: আলী আজগর, মাও: জুনাইদ আহমদ, মাও: ফজলে হক, বালাগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, তিলকচানপুর মাদ্রাসার সদস্য ফারুক আহমদ ও সাংবাদিক জাগির হোসেন সহ প্রমুখ।
এ ব্যপারে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন মোঃ আব্দুল মুনিম বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা আমাকে জানালে আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল সাকিব বলেন বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।