জগন্নাথপুরে আদার কেজি ২৫০ টাকা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০১৯, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
গোবিন্দ দেব, জগন্নাথপুর:
জগন্নাথপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে । বাজার মনিটরিং না থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে বাজারে ঘুরে দেখা যায়, রোববার জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে সকাল থেকেই ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। ঈদের কেনাকাটার পাশাপাশি মসলার বাজার, সবজিবাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতারা জানান, রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। মুসলমি ধর্মালম্বীদের এই বৃহত্তর ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই মসলার বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে।
আজ রোববার প্রতিকেজি আদা ২০০ থেকে থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গতকাল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা প্রতিকেজির দামে বিক্রি হয়েছে। অনুরূপভাবে রসুন প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে আজ বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার প্রতিকেজি রসুনের দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এছাড়াও বাকর প্রতিকেজি ১৩০, গোলমরিছ ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও তেল, পিয়াঁজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অন্যদিনের তুলনায় আজ একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর বাজারে আসা ফজলুর রহমান নামে এক ক্রেতা সুরমানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হঠাৎ করে আদার দাম দ্বিগুণ আকারে বেড়ে গেছে। শুক্রবারও আদা প্রতিকেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ আজ রোববার সকাল থেকেই বাজারে প্রতিকেজি আদা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রসুন, বাকরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভূষিমালের ব্যবসায়ী জানান, হঠাৎ করে আদা, রসুনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যে সংকট দেখা দেয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
এবিষয়ে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমরা অভিযানে নামবো।