নবীগঞ্জে শেষ মূর্হতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহা। পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে শেষ মূর্হতে চলছে কোরবানির পশু বেচা-কেনা। ঈদ উল আযহার আর মাত্র এক দিন বাকি। সারাদেশের মতো নবীগঞ্জে ও বসেছে কোরবানির পশুর হাট।
নবীগঞ্জ উপজেলার উল্লেখযোগ্য ও সব চেয়ে বড় পশুর হাট গুলোর মধ্যে পৌর এলাকার সালামতপুর, উপজেলার দিনারপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজার, ইমামবাড়ী বাজার, নতুন বাজার, ইনাতগঞ্জ, সৈয়দপুর বাজার, কাজিগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট গুলো। সরেজমিনে গজনাইপুর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপছেপড়া ভিড়।দেখা গেছে প্রতিটি হাটেই বিভিন্ন ধরনের পশুর ব্যাপক সমাগম। অনেক হাটে হাজার হাজার পশুর জায়গা সংকুলান না হয়ে তা মূল সড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন পশু বিক্রেতারা। গরু বেপারিরা জানান, নবীগঞ্জের পশুরহাটগুলোতে এবার খুলনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, সুনামগঞ্জ অঞ্চল থেকে বেশি পশু আসছে। তবে ভারত থেকেও কিছু গরু এসেছে এসব পশুর মধ্যে গরু ও ছাগলের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশী। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে করছেন হাটে আসা ক্রেতারা।আর মাত্র এক দিন বাকি পবিত্র ঈদুল আযহা তাই লোক সমাগম অনেক বেশি তার জন্য আজকে অন্য দিনের তুলায় অনেক বেশি গরু বিক্রি হচ্ছে।
হাট পরিদশনে গিয়ে দেখা যায়, সম্পূর্ণ হাট ছিল গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিশ, সহ পশুতে পরিপূর্ণ।তবে অন্য বছরের তুলনায় দাম তেমন একটা বেশী নয় বলে জানান বিক্রেতারা।গজনাইপুর ইউনিয়ন গরুর বাজার কতৃপক্ষ জানান, নবীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী দিনারপুর জনতার বাজার পশুর হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা পশু নিয়ে আসেন। ক্রেতাও বিক্রেতাদের সুবিধার্তে জাল টাকা নির্নয় কারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর দাম একটু বেশি এবং কিছু ভারতীয় গরু বাজারে আসায় দেশীয় গরু বিক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন।এদিন সর্বোচ্চ ১লাখ থেকে ৫লাখ টাকায় গরর দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা ।খাসি ভেড়া ছাগলও বিক্রি হচ্ছে যথেষ্ট। দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৬ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দামের ছাগল বেশী বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে যারা গরু কিনছে তারা এক দিনের গরু মাংস কাটা এবং কোরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, চাকু, দা, বটি, চাপাতি এসব তো ব্যবহার করা হয়ই।নবীগঞ্জে পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে এ সময় কামারপল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করতেছেন।
নবীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন থেকে, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নির্বিঘ্নে ক্রেতা বিক্রেতারা পশু ক্রয় বিক্রয় করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলার পশুর হাটে গুলোতে কড়া নজরদারি ও সর্বত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। পশুর হাট গুলোতে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে বিশেষ নজরদারি নেওয়া হয়েছে। পকেটমার ও ছিনতাইকারী, চোরাই গরু চক্র, গরু বাজারকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে জাল টাকা ছড়াতে না পারে সে দিকে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।