মৌলভীবাজারে তিন সন্তানের জনকের অনৈতিক কাণ্ডে, অন্তঃসত্ত্বা ষষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০১৯, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের এ.এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে তিন সন্তানের জনক রজব আলী (৪২) নামে এক লম্পট। শারীরিক সম্পকের জেরে স্কুল ছাত্রীটি (১৩) দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এঘটনাটি পরিবার ও এলাকাবাসীর নজরে আসলে ক্ষিপ্ত হয়ে রজব আলী ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে স্কুল যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনায় গত রবিবার (৪ আগস্ট) স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অপহৃতা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী রজব আলীকে আটক করে। সে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের সাদি বাকরের ছেলে।
পরিবার ও থানার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রজব আলী বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম দুই বছর যাবৎ প্রবাসে ওমানে রয়েছেন। রজব আলীর পাশের বাড়ির পাশে ওই ছাত্রীটির ঘর। আত্মীয়তার সুযোগে সে প্রায়ই মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতো। ওইসময় সে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়। পরিবার ও স্থানীয়দের নজর এড়িয়ে ৪৩ বছরের রজব আলী নানা প্রলোভনে আকৃষ্ট করে মাত্র ১৩ বছরের মেয়েটির সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ১ আগস্ট বাড়ি থেকে স্কুল যাওয়ার পথে মেয়েটিকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই লম্পট।
খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে রজব আলী মেয়েটির বাবাকে মোবাইল কল দিয়ে জানায়, ‘আমি আপনার মেয়েকে বিবাহ করেছি’। পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার তিনদিন পর মেয়েটির বাবা গত রবিবার (৪ আগস্ট) কুলাউড়া থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অপহৃতা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ও রজব আলীকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মেয়েটি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটির বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং রজব আলীকে আটক করা হয়েছে।