কুলাউড়ায় নিখোঁজ শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, আটক-৩
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০১৯, ৬:৪০ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন পলাশ শব্দকর (৭) নামক প্রথম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর নিখোঁজের একদিন পর ০১ আগস্ট বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশু উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিচিরি গ্রামের পরিমল শব্দ করের পুত্র। সে শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশু পলাশ ৩১ জুলাই বুধবার সকাল ১১ টা থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে শিশুর বাবা পরিমল শব্দকর বিকেলে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১৪৩৫) করেন। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন (০১ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে তার লাশ কালিটি চা বাগান এলাকায় লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে একই এলাকার মির্জান আলী পুত্র জাহেদ আলী (১৫)কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আটক জাহেদ পলাশের লাশ কালিটি চা বাগান এলাকা থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত জাহেদের পিতা মির্জান আলী (৪৫) ও চাচাতো ভাই চান মিয়ার পুত্র রাহেল আহমদ (২৬)কে আটক করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মুলত পলাশকে বলৎকারের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত জাহেদ ও রাহেল নিহত পলাশকে চা বাগান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে বড় গাছে পাখির বাসা থেকে পাখির বাচ্চা এনে দিতে পলাশকে তারা গাছে তুলে। একপর্যায়ে সে গাছ থেকে নামতে গিয়ে পা ফসকে নীচে পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে যায়। এসময় শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জাহেদ ও রাহেল ভয়ে শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করে চলে আসে। পুলিশকে এ তথ্য জানায় এবং লাশ উদ্ধারে সহায়তা করে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইয়ারদৌস হাসান জানান, এলাকায় লোকমুখে বলৎকারের বিষয়টি আলোচিত আছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পিতা পরিমল শব্দকর বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করছেন।