কানাইঘাটে ভুয়া স্ত্রী সেজে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন !
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০১৯, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ
কানাইঘাট প্রতিনিধি:
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৪৮ বছর। সেই যুদ্ধে পাক-বাহিনীর হাতে শাহাদৎ বরণ করেন মুক্তি বাহিনীর এক টকবগের অবিবাহিত যুবক। কিন্তু সেই বীর সেনানীর মৃত্যুর ৪৮ বছর পর পাওয়া গেল তার এক ভুয়া স্ত্রীর খবর। আর সেই স্ত্রী মাসের পর মাস ঐ মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া স্ত্রী সেজে তার নামে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের কানাইঘাটে। জানা যায় উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউপি’র নারাইনপুর গ্রামের মৃত কটাই মিয়ার অবিবাহিত পুত্র একরাম আলী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে কানাইঘাট রাজার টিলা এলাকায় পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে মুখামুখী যুদ্ধে তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। যা এলাকার সকল মানুষের মুখে মুখে আজও রটে আছে। কিন্তু একই ইউপির মিকিরপাড়া গ্রামের আখদ্দুছ আলীর স্ত্রী কালন বিবি শহীদ একরামের ভুয়া স্ত্রী সেজে সকল ভাতা উপভোগ করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়েছে। বিশ^স্থ সূত্রে জানা যায় এই ভাতা উপভোগ করতে গিয়ে কালন বিবি অসাধুদের ধরনা দিয়েছেন। আর সেই অসাধুরা জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তারা কালন বিবিকে শহীদ একরামের স্ত্রী সাজাতে সহযোগীতা করেন।
আসাধুদের তৈরী জালজালিয়াতি কাগজে দেখা যায় কালন বিবির জন্ম ১০ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ ইং। কিন্তু ইউপি জন্ম নিবদ্ধন অনুযায়ী তার প্রকৃত জন্ম ১০ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৮ ইং। আর মুক্তিযোদ্ধা একরাম আলী মারা যান ১৯৭১ সালে। এই হিসাবে দেখা যায় কালন বিবি ৩ বছর বয়সে শহীদ একরামকে বিয়ে করেন। এ ছাড়াও কালন বিবি লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউপি’র ৪ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সামছুল ইসলাম তাকে উত্তরাধিকার সনদ দিয়েছেন। যা সম্পুর্ণ নিয়ম বহিভুত। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় ছোটফৌদ গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।