বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিয়ানীবাজারে ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিয়ানীবাজারে ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে গত রবিবার এবং সোমবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উপজেলা প্রশাসন পর্যবেক্ষক টিম গঠন করেছে।
সোমবার বিয়ানীবাজারে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় সহায়তা প্রদান বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানয়, বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১১টি মেডিকেল টিম, ১১টি স্কাউট টিম, ৫টি ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষক টিম, ১১টি আনসার টিম কাজ করছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ২২মেট্রিক টন চাল ২২শত পারবারের মধ্যে আজ মঙ্গলবার থেকে বিতরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। একশত প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তত রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান জানান, উজানের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদী ও আশপাশ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকালে বিয়ানীবাজারে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় সহায়তা প্রদান বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিরণ, দেওয়ান মাকুসুদুল ইসলাম আউয়াল প্রমুখ।
সভায় ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নে ২২ মেট্রিক ত্রাণ (চাল) বিতরণ এবং সরকারি ও বেসরকারিভাবে স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।