প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে ডিম-কলা-রুটি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০১৯, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে তাদের দুপুরের টিফিন খাওয়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে। দেশের সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডিম-কলা অথবা ডিম-রুটি দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরুর চিন্তা-ভাবনা থাকলেও আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে আগামী অক্টোবর থেকে দেশের ১৬ উপজেলায় ‘মিড ডে মিল’ হিসেবে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে।
জানা গেছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফও) আওতায় ২০১০ সালে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিস্কুট দেয়ার কর্মসূচি শুরু হয়। দেশের ১০৪টি দরিদ্রপ্রবণ উপজেলার সবগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং হিসেবে বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় স্কুল মিল’ নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ২০১৬ সালে একটি কমিটি গঠন করে। ২০১৭ সালে এ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা- ২০১৯’ চূড়ান্ত করেছে, যা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়। বর্তমানে মন্ত্রণালয় থেকে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরি হচ্ছে। এটা তৈরি হলে তা কেবিনেটে (মন্ত্রিসভা) পাঠানো হবে। এরই অংশ হিসেবে পুরোপুরি সরকারিভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের ১৬ জেলায় আগামী অক্টোবর থেকে চালু হতে পারে ‘জাতীয় স্কুল মিল’ কার্যক্রম। এরপর দেশের আরও ১০৪টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রতি বছর এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
সরকারের স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় বিস্কুট কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীপ্রতি আট টাকা করে খরচ হয়। রান্না করা খাবার দেয়া হলে এ খরচ দাঁড়াবে ১৮ টাকায়। আর ডিম-কলা অথবা ডিম-রুটি দিলে ২০ থেকে ২২ টাকার মতো ব্যয় হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রান্না করা খাবার তৈরিতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়, এটা পরিবেশন করতেও বেশ সময় লাগে। বরাদ্দ না থাকায় এসব কাজের জন্য বাড়তি কোনো কর্মচারী নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় রান্না করা খাবার তৈরি করতে হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্কুল ফিডিং বা মিড ডে মিল হিসেবে রান্না করা খাবার দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসার চিন্তা করছি। এর পরিবর্তে সপ্তাহে তিনদিন সিদ্ধ ডিম-কলা, বাকি দিনগুলো ডিম-রুটি দেয়ার চিন্তা চলছে।