জগন্নাথপুরে গরুর ওপর এ কেমন বর্বরতা?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০১৯, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওরা গ্রামের দিনে-দুপুরে অনেক গুলো গরুকে কুপিয়ে জখম করার মতো বর্বর ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেছি শেওরা গ্রামের মো. আলতা মিয়া’র ছেলে উকিল মিয়ার এক হাজার হাঁসের খামার রয়েছে। যা শেওরা গ্রামের পাশে বহমান ইটাকলা নদীতে খাদ্যের জন্য হাঁস গুলোকে রাখা হয়। এতে করে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। নদীর পাশে বসরত শেওরা গ্রামের লোকরা ও শিশুরা ঐ নদীতে গোসলসহ বিভিন্ন কাজে নদীর পানি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু হাঁসের কারণে নদীর পানি ব্যবহারে গ্রামবাসীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এ থেকে মুক্তি পেতে শেওরা এলাকাবাসী গ্রাম পঞ্চায়েত মিলে পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে পাশের গ্রামের উকিল আলীকে নদীতে হাঁস না রাখার নির্দেশ দেন। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উকিল মিয়া শেওরা গ্রামের গরু-ছাগল যাতে তার গ্রামে প্রবেশ না করে সে জন্য তিনি হুমকি দেন এবং এই আক্রোশে গত মঙ্গলবার বিকালে উকিল মিয়া ও তার ছেলে স্বপন মিয়া মিলে শেওরা গ্রামের বেশ কয়েকটি গরুকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে জানা যায়।
গরুর মালিক মো. রুফু মিয়া, মো. জুনু মিয়া, জামাল মিয়া, সুনিল সরকার, দিরু সরকার, সইলন বাবু সহ এলাকাবাসীরা বলেন, এরকম ঘটনা পূর্বে আমাদের এলাকায় আর কখনো ঘটেনি। এটা একটি নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওরা গ্রামের গরুদের কুপিয়ে জখম করার ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে আলোকে তদন্ত চলছে।