এখনও বন্ধ ঢাকা-সিলেট সড়কে সরাসরি যান, শুরু হয়নি ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর মেরামত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০১৯, ৬:২৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর মেরামত কাজ শুরু হয়নি এখনো। জেলার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন জানিয়েছেন আমরা এখনো বেইলী পাইনি। বেইলী পাওয়ামাত্র সংস্কার কাজ শুরু হবে। তাছাড়া ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসার কথা রয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুসারেই কাজ হবে। সেতুটির ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙ্গে পড়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে সব ধরণের ভারী ও মাঝারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর পুরাতন সেতুর চতুর্থ স্পেনের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।
সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণার পরও শতশত গাড়ি বিশেষ করে মালবাহি ট্রাক জমা হয় সেতুর দু-পাশে। বিশ্বরোড খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ওসি হোসেন সরকার জানিয়েছেন বিকল্প পথে গাড়ি চলাচলে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
এদিকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ওইদিনই মোট ৬০ মিটার সিঙ্গেল-সিঙ্গেল মেবি জনসন বা অন্য কোন প্রকার বেইলী সরবরাহ করার জন্যে সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে ‘অতীব জরুরী’ চিঠি পাঠিয়েছেন সড়কের কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। এতে বলা হয় সেতুর ষ্ট্রাকচার ঝুকিপূর্ন থাকায় এর পঞ্চম স্পেনের ওপর ৩০ মিটারের দুটি বেইলী স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেট প্রান্ত অভিমুখে সেতুটির ৪র্থ স্পেনের পূর্ব পাশের ক্যান্টিলিভার অবস্থায় নির্মিত ফুটপাত রেলিংসহ ভেঙ্গে পড়েছে। এই চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয় পুরাতন সেতুটির পাশেই নতুন একটি সেতু নির্মানাধীন। যার কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে নতুন সেতু যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হবে। তিতাস নদীর ওপর ১৯৬৩ সালে নির্মিত শাহবাজপুর সেতুর (পুরাতন) মাঝখানে বেইলি সেতু বসিয়ে কোনো রকমে যান চলাচল স্বভাবিক রাখা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। মাঝে-মধ্যেই বেইলি সেতুতে ওঠার সময় চাকা দেবে গিয়ে যানবাহন আটকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ বিভাগ সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সেতুর দুই পাশে ১৫ টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ করে সাইনবোর্ড টানিয়েছে। তবে সওজ’র এই নির্দেশনা না মেনে প্রতিনিয়ত ১৫ টনের অধিক যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করে।