দিরাই পৌর সদরের প্রধান সড়ক জুড়ে খানা-খন্দ আর কাদা-পানি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০১৯, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
দিরাই প্রতিনিধি:
দিরাই পৌর শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়ক কলেজ রোডের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়ক জুড়ে খানা-খন্দ আর কাদা-পানিতে সয়লাব। সামান্য বৃষ্টি হলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। যার ফলে প্রতিদিন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সঙ্গী করে যাতায়াত করছেন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ হাজারো সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা রাস্তাটি সংস্কারে মানববন্ধন, বিক্ষোভ অবরোধসহ একাধিক কর্মসূচী পালন করলেও সংস্কার হয়নি রাস্তাটি।
জানা যায়, ২০১৫ সালে রাস্তাটি সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিলো। বিগত ৪ বছর যাবত আর রাস্তাটি সংস্কার হয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ ও এলজিইডির মধ্যে টানাপোড়েনের কারণে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তার হস্তক্ষেপে গত বছরের নভেম্বর থানা পয়েন্ট হতে বাসস্টেশন পর্যন্ত ১৬ ফুট প্রস্ত করে ৩শ’ ২০মিটার আরসিসি রাস্তা ও পয়েন্ট ৮৬ মিটার প্রস্ত করে ৫শ’ ৩৯ মিটার ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য ১কোটি ১ লক্ষ ২০৬৭৯ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে দরপত্র আহ্বান করে দিরাই পৌরসভা। টগর নির্মাণ সংস্থা নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে ২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ করে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করতে গেলে বিপত্তি বাধায় রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটি। যে কারণে এবছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। অদ্যাবধি বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরিত না হওয়ায় কাজ করতে পারছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ রোডের বাসিন্দা জাগো দিরাই’র সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরী বলেন, এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেছি। রাস্তাটি ৪০ থেকে ৪৫ ফুট প্রস্ত রয়েছে। সেখানে ১৬ ফুট রাস্তা নির্মাণে বিদ্যুতের খুঁটি কিভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ালো আমরা বুঝতে পারছি না।
মির্জা ইসলাম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বাসস্টেশন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। বছরের পর বছর ধরে একটি রাস্তা এভাবে সংস্কারহীন থাকতে পারে না।
স্কুল শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার বলেন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে কাপড়-চোপড়সহ শরীরে কাদা-মাটি লেগে যায়, রিক্স্রায় যেতে চাইলে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে তিনগুণ বেশী ভাড়া দিতে হয়।
দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া বলেন, রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেতো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আমরা বিদ্যুতের স্থানীয় পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। স্থানীয় এমপি মহোদয়কেও এব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই সড়কের বিপরীত পাশে অনুরূপভাবে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু বিদ্যুতের লোকদের খামখেয়ালিপনার দরুণ আটকে আছে কাজ। ফলশ্রুতিতে নতুন কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। এখন উপায়ন্তর না দেখে খুঁটির অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকিটুকুর কাজ সম্পন্নের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।