বালাগঞ্জে স্কুল কমিটির প্রতিনিধির উপর যুবলীগ নেতার হামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০১৯, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
বালাগঞ্জের আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন কমিটির সভা চলাকালে এম পি মনোনীত স্কুল কমিটির প্রতিনিধি গোপাল দাসের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ হেলাল মিয়া। হট্রগোল শুরু হলে সভা সাময়িক স্থগিত করে হেলালকে বের করে দিয়ে যথারীতি সভা চলে।
এ ব্যাপারে সিলেট ৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মনোনীত স্কুল কমিটির সদস্য গোপাল দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মিটিং চলাকালে হেলাল মিয়া গালাগালি করেন। তাকে গালাগালি না করতে বললে সে আমাকে ঘুষি মারেন।
বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য গত ১৫ জুন বিদ্যালয়ের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। প্রধান শিক্ষক সীমা রানী দাস এমপির মনোনীত তিনজন ব্যক্তির নাম পাঠান গোপাল দাস, শিশির দেব ও মোঃ হেলাল মিয়ার নাম। এমপি গত ২৭ মে তিনি গোপাল দাসের নাম মনোনীত করেন। এনিয়ে বাদ পড়া দুজন সংগটিত হয়ে প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের অনিয়ম এনে গত ১৬ জুন একটি মানববন্ধন করে।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সীমা রানী দাস বলেন, মিটিং চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে হেলাল মিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এমপি মনোনীত সদস্য গোপাল দাসের উপর হামলা করে। এতে দুজনই দস্তাদস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন বলেন,এধরনের ঘটনা সত্যই দুঃখ জনক এধরনের ঘটনা বালাগঞ্জের জন্য লজ্জাজনক। তিনি সহ স্থানীয় একাধিক জনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গত দুবছর ধরে স্থানীয় শিশির দেব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ কতৃপক্ষের উপর মামলা করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্য্যকম বাধাগ্রস্থ করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জুন তারা মানববন্ধন করেন।
এব্যপারে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মুনিম বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। আমি তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি।
বালাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাকিব ভুইয়া বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং নিষ্পত্তি করার জন্য বলেছি।