সিলেটে দরিদ্রের টাকা খাওয়ার তালিকায় কোটিপতিরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০১৯, ১২:৩১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
‘কাজের বিনিময়ে টাকা’র (কাবিটা) সুবিধাভোগীর তালিকায় রয়েছেন লাখপতি থেকে শুরু করে কোটিপতিরা। সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায় ‘কাজের বিনিময়ে টাকা’র (কাবিটা) কর্মসূচী ২০১৮-২০১৯ এর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণের উপকারভোগীদের নামের তালিকায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিআইও দপ্তর ‘কাজের বিনিময়ে টাকা’র আওতায় ওই উপজেলার ১৭টি গৃহহীন পরিবারের জন্য ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান তালিকা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করেই ১৩ মে তালিকাটি অনুমোদন করেন।
অভিযোগ পওয়া যায়, অনুমোদিত সেই তালিকায় দেখা গেছে ১৭টি পরিবারের মধ্যে ১২পরিবারই লাখপতি থেকে শুরু করে কোটিপতি ব্যক্তি।
এসব ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম হলেন ১নং আটগাঁও ইউপি’র ফরিদপুরের মামুদনগর গ্রামের আবু নছর মিয়ার বিত্তশালী ছেলে মতিউর রহমান। তিনি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদের জামাতা।
এছাড়াও ওই গ্রামেরই মনোয়ার হোসেনের ছেলে ইয়াহিয়া আলম, উজান ইয়ারাবাদ গ্রামের উকিল আলীর ছেলে কোটিপতি সালাম মিয়া ও ইউপি সদস্য বশির মিয়ার আপন ভাই আব্দুল হামিদের নাম পাওয়া যায়। এদিকে বাহাড়া ইউনিয়নের ডুমরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অভিমূন্য দাসের ছেলে চিন্ময় দাস, মেঘনাপাড়া গ্রামের প্রাণধন দাসের স্ত্রী শ্রীমতি বালা দাস, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী ইমরানা বেগম অন্যতম।
অন্যদিকে হবিবপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের হামিদ মিয়ার স্ত্রী হোসেনা বেগমের কোনো জমি নাই, তার নাম দিয়ে আপন ভাসুরের ছেলে ধনী ব্যক্তি হুমায়ুন মিয়ার পিতার জায়গায় নতুন ঘরটি তৈরির ব্যবস্থা করার অভিযোগে উঠেছে। এ বিষয়ে ৩ জুন হুমায়ুন মিয়ার ভুক্তোভোগী ফুফু অসহায় মমিনা বেগম বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ‘তালিকা তৈরি করার সময় সঠিকভাবে যাচাই না করার ফলে একটু ত্রুটি হয়েছে। পুনরায় যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করা হবে।’
সুত্র: ডেইলি স্টারের