সুনামগঞ্জে ধর্ষণের শিকার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী, চিকিৎসা নিতেও বাধা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০১৯, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের পর চিকিৎিসাসেবা নিতেও বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। রোববার (০৯ জুন) রাতে মহিলা পরিষদের সহায়তায় ভিকটিম শিশু কন্যাকে অবশেষে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এবার আইন সহায়তা না নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন।
ভিকটিমের পরিবার ও সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদ জানায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুরে এক দিনমজুর বিধবা মায়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু কন্যাকে তার মায়ের অনুপস্থিতিতে শনিবার রাত আটটার দিকে বসতঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী তেরাব আলীর ছেলে রুহুল আমিন (১৯)। ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্য ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাতে শিশুকন্যার শরীরে তীব্র জ্বর উঠলে গোপনাঙ্গেও ব্যথা শুরু হয়। দিনমজুর বিধবা মা ঘটনা জানতে চাইলে সে বখাটের হুমকির বিষয়টি মনে করে চেপে যায়।
রবিবার বিকেলে শারিরীক ধকল সইতে না পেরে ভিকটিম শিশু কন্যা তারই প্রতিবেশি চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের কাছে এ ঘটনা খুলে বললে ওই নারী তাৎক্ষণিকভাবে শিশুর মাকে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি মেয়েকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নিয়ে যেতে চাইলে রুহুল আমিনের বাবা, মা, বোন ও বোন জামাই তাদেরকে হাসপাতালে যেতে বাঁধা দিয়ে বসতঘরেই অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ খবর সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদ ও স্থানীয় কাউন্সিলর জানতে পেরে ভিকটিমের মাকে হাসপাতলে চিকিৎসা নেয়া ও সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
অবশেষে রোববার রাত ৮টার দিকে শিশু কন্যাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন বিধবা মা।
এদিকে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর ধর্ষকের পরিবার থানায় গিয়ে কোন রকম আইনি সহায়তা না নেয়ার জন্য বারবার হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা শুনার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ওই শিশু কন্যার চিকিৎসা সেবার বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত করেছি। তারপর ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশের অপর একটি টিমকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছি।