লন্ডনে বাংলাদেশি যুবকের সাথে জবরদস্তি, সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০১৯, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিস:
পূর্ব লন্ডনের ওয়াটনি স্ট্রীটে এক বাঙালি যুবককে আটক করতে গিয়ে পুলিশের জবরদস্তিমূলক আচরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের আচরণ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক পুলিশের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, গত ৬ মে সোমবার ওয়াটনি স্ট্রীটের একটি দোকানে গণ্ডগোলকে কেন্দ্র করে পুলিশ কল করেন দোকানী। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এক যুবককে আটক করে। ওই যুবককে আটকের কারণ জানতে চান বন্ধু কাউয়ুম খান। ২১ বছর বয়সী কাউয়ুম খান দোকানের ভেতর প্রবেশ করে দোকানদারের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখার অনুরোধ করেন। এ সময় দোকানের ভিতরে থাকা এক অফিসার তেড়ে এসে তাঁকে ধাক্কা দেয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ এক যুবককে রাস্তায় ফেলে চেপে রেখেছেন। এ সময় পাশ থেকে একজন বার বার বলছেন, সে ব্যাথা পাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ জবরদস্তিমূলকভাকে ওই যুবককে টেনে হেঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলে। পুলিশের এমন জবরদস্তিমূলক আচরণকে আমেরিকান পুলিশের মত বিতর্কিত আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করতে গিয়ে পুলিশের ওই আচরণে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এ ঘটনায় কমিউনিটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। পুলিশের আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৬ মে সোমবার বিকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ওয়াটনি স্ট্রীটে একজন দোকানকর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পায়। অফিসাররা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তির আঘাতপ্রাপ্ত মুখে চিকিতসা দেয়া হয়। বেশকিছু যুবক পুলিশের মুখোমুখি হয়। তারা পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। ফলে অতিরিক্ত পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার সন্দেহে একজন গ্রেফতার করা হয়। আটক ব্যক্তি অসুস্থবোধ করছেন দাবি করায় সতর্কতা স্বরূপ তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তারপর তাকে কাস্টোডিতে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হলেও তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মেয়র বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যুবককে আটকের কৌশলে তিনি উদ্বিগ্ন। বারা কমাণ্ডের কাছে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেছেন এবং ভুক্তভোগী যুবক ও তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করেছেন। এই ঘটনা পুলিশের তদন্ত করার বিষয় এবং তারা সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশের আচরণ যথাযথ ছিল কি-