বড়লেখায় দেড় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা, দূর্ভোগ চরমে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০১৯, ৫:৪১ অপরাহ্ণ
বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সদ্য সমাপ্ত সংস্কার কাজের কোন সুফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী মাত্র দেড় কিলোমিটারের রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে। প্রায় ৩ বছর ধরে রাস্তাটির ৩-৪ স্পটের ভাঙ্গাচুরা বেহাল দশায় প্রতিদিন জনসাধারণ ও যানবাহণ চরম যন্ত্রণা ভোগ করছে। অথচ এ স্থানগুলোসহ সম্পুর্ন রাস্তার মেরামত কাজের টেন্ডার হয় একই সাথে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এসব স্থানের কাজ না করায় চলাচলকারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক সেই সময়ে প্রস্তুতকৃত সংস্কার কাজের প্রাক্কলন (ইস্টিমিট) সঠিক না থাকায় ঠিকাদার কাজ করতে রাজি হননি। ট্রেন লাইন বন্ধ থাকায় বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার সম্পুর্ন এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার একাংশের জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক। ২০১৬ ও ’১৭ সালের বন্যায় রাস্তাটির কয়েকটি স্থান নিমজ্জিত থাকায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সে সময়ে সড়ক উন্নয়নের জন্য ৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা যথা সময়ে রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন না করায় প্রায় এক বছর জনসাধারণ ও যানবাহনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অবশেষে ২০১৮ সালের শেষ দিকে কাজ শুরু হয়। বড়লেখা পৌরশহর, কাঠালতলী, দক্ষিণভাগ, চালবন্দসহ অধিকাংশ রাস্তার সংস্কার কাজ সস্প্রতি সম্পন্ন হওয়ায় ভুক্তভোগীরা স্বস্তি পায়। কিন্তু এ সড়কের সফরপুর, টিলাবাজার, রতুলি ও বাছিরপুর নামক স্থান মারাত্মক ভাঙ্গতে থাকে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে এসব স্থানে মাত্র ৫ কিলোমিটার বেগেও যানবাহন চালানো সম্ভব হয় না। দুরের অপরিচিত চালকরা দ্রুতগতিতে এসে বিশাল গর্ত দেখে হঠাৎ ব্রেক করে দুর্ঘটনায় পড়ছে। রাস্তায় পায়ে হেটেও চলাচল করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেকশন অফিসার জহির উদ্দিন জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার উল্লেখিত স্থানগুলোর কাজ না করায় রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। নতুন করে ইস্টিমিট তৈরী করে তা অনুমোদনের জন্য হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই টেন্ডার আহবান করা হবে। তবে ঠিকাদার নিযুক্তির আগে সওজের তত্ত্ববধানে ভাঙ্গা রাস্তায় সাময়িক জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্পেটিং কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।