নবীগঞ্জে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টে ১২ লক্ষ টাকা ছিনতাই, আটক ২
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মে ২০১৯, ১:২৮ অপরাহ্ণ
শেরপুর প্রতিনিধি :
নবীগঞ্জের বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের নির্মান কাজে নিয়োজিত দি বেঙ্গল ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানী লিমিটেডের অফিস থেকে দিন দুপুরে ফিল্মি স্টাইলে ১২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৭ লক্ষ টাকাসহ ২ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। আটক দুজন হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র সাজু আহমেদ (২৫), তার সহযোগী একই গ্রামের রাহাত উল্লার পুত্র সাঈদ আহমেদ (২৬)।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দি বেঙ্গল ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানী লিমিটেড এর স্টোক ইনচার্জ ইমন আহমেদ ও সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার ও কম্পিউটার অপারেটর সুমন মিয়া উক্ত কোম্পানীর হেড অফিসের কর্মকর্তা রবিউল আজিম সহ ৪ জন মিলে উক্ত কোম্পানীতে নিয়োজিত শ্রমিকদের মাসিক বেতনের টাকা প্রদান করছিলেন।
বেঙ্গলের কর্মকর্তা ইমন আহমেদ বলেন, বুধবার দুপুর প্রায় আড়াইটার দিকে যখন আমরা শ্রমিকদের বেতন বিলি করছিলাম এই সময়ে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের অফিসে বীরদর্পে প্রবেশ করে সাজু ও সাঈদ। তারা ফিল্মি স্টাইলে আমাদের জিম্মি করে আমরা ৪ জনের কাছ থেকে ১২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক এ খবর আমি আমার হেড অফিস ও থানা পুলিশকে অবহিত করি।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নবীগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর কাওসার আহমেদ ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সাজু ও সাঈদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। মাসিক চাঁদায়কারী চক্রের মূল হুতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন ও ইউপি সদস্য হাজী দুলাল মিয়াসহ এলাকার কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী লোক। তারা কোন কাজকর্ম ছাড়াই কোম্পানীকে দেখে রাখবেন বলে চাঁদা আদায় করতেন বলেও জানান এই কোম্পানীর কর্মকর্তা।
সাব ইন্সপেক্টর কাওসার আহমেদ বলেন- আমি ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক একদল পুলিশ নিয়ে এলাকায় অবস্থান করি এবং প্রায় ৬ ঘন্টার মধ্যেই উল্লেখিত দুই ছিনতাইকারীকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষ টাকা সহকারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হাজী দুলাল মিয়ার বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত দু‘জনকে থানায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এদিকে আটককৃতরা জানান, দি বেঙ্গল ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানী লিমিটেডের কাছে টাকা পাওনা ছিল।
অপর দিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ওই এলাকার কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিরা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টে নিয়োজিত দি বেঙ্গল ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানী লিমিটেড এর কাছ থেকে প্রতি মাসেই মাসিক চাঁদা আদায় করে থাকেন। এমনকি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কোম্পানীর কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজী করে আসছেন বলেও সূত্র জানায়। কয়েকমাস ধরে কোম্পানী তাদেরকে টাকা না দেয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।