শ্রীমঙ্গলের সড়কজুড়ে সিএনজি, টমটম স্ট্যান্ড : চরম জনভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০১৯, ৪:১৮ অপরাহ্ণ
তোফায়েল পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল:
মৌলভীবাজারের স্বনামধন্য পর্যটন এলাকা শ্রীমঙ্গল। প্রতিদিন এই এলাকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে বেড়াতে আসেন দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় শ্রীমঙ্গল শহরে সারাদিন দফায় দফায় যানজট লেগে থাকে। অন্যদিকে শহরের বুকে অবৈধভাবে উঠা দুইটি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও টমটম স্ট্যান্ডকেও যানজটের জন্য দায়ী মনে করেছেন এলাকাবাসী।
ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার মূল প্রবেশ পথ হচ্ছে হবিগঞ্জ সড়ক। শহরের প্রাণ কেন্দ্র চৌমুহনা হয়ে যেতে হয় বিভাগীয় শহর সিলেটে। বাসস্ট্যান্ড হতে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা পর্যন্ত লেগে থাকে দফায় দফায় যানযট। একটি অবৈধ অটোরিক্সা স্ট্যান্ড হবিগঞ্জ সড়কের পাশে ও অন্য আরেকটি স্ট্যান্ড শ্রীমঙ্গল থানা সংলগ্ন মৌলভীবাজার সড়কের পাশে অবস্থিত। আর টমটম স্ট্যান্ড হচ্ছে জগন্নাথ আখড়া’র বিপরীতে সড়কের পাশে অবস্থিত। রাস্তার পাশে এরকম অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্ট্যান্ড থাকায় যত্র তত্র পার্কিং আর রাস্তার পাশে গাড়ি দাড়ঁ করিয়ে পেসেঞ্জার উঠা নামানোর জন্য যানজট সৃষ্টির কারণ বলে দায়ী করছেন শ্রীমঙ্গলবাসী।
সম্প্রতি সরজমিনে শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে অবৈধ দুই স্ট্যান্ডে অর্ধশতাধিক সিএনজি অটোরিকশা যাত্রীর অপেক্ষায়। আর কেউ কেউ যাত্রী তুলতে বা নামাতে ব্যস্ত।
অবৈধ এই স্ট্যান্ড ও শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ শহরে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় যানজটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
যানজটের কবলে পড়ে ঢাকা-সিলেট (হবিগঞ্জ সড়ক) সড়কে যাতায়াতকারী জনসাধারণ যেমন ভোগান্তির শিকার হন, তেমনি শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দি বাডস রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজসহ আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। যখন-তখন অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশংকাও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। স্থানীয় যুবক জাহেদ, মিঠুন, তৌসিফসহ আরও কয়েকজন এবং ব্যবসায়ী কয়েকজন এই দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, যে কোনো সময় হঠাৎ করেই সিএনজি, টমটম পার্কিং করতে দেখা যায়, যার কারনে যানজট সৃষ্টি হয়। যেখানে সেখানে তারা গাড়ি দাড়ঁ করিয়ে যাত্রী উঠায়, নামায়। তাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। গাড়িগুলো গোটা রাস্তা দখল করে থাকে।
সিএনজি সমিতির ২৩৫৯ নং এর হবিগঞ্জ রোড গ্রুপ শাখার সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা হবিগঞ্জ রোডের পাশে সিএনজি স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। সরকারিভাবে কোন স্ট্যান্ড আমাদের দেয়া হয়নি। আমাদের সিএনজি গ্রুপের সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখানে স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছি।
অপরদিকে সিএনজি সমিতির ২৩৫৯ নং এর মৌলভীবাজার রোড গ্রুপ শাখার সভাপতি মো: আজাদ মিয়া বলেন, শ্রীমঙ্গল থানার সামনে সড়কের পাশে প্রায় ২০/২৫ ধরে এখানে সিএনজি স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। আমাদের স্থায়ীভাবে কোন স্ট্যান্ড নেই।
শ্রীমঙ্গল শহরে দফায় দফায় যানজট এ প্রসঙ্গে টাউন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো: খায়েস মিয়া বলেন, শহরের মধ্যে যেখানে সিএনজি, টমটম পার্কিং করতে দেখা যায় তাদের আটকে রেখে আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হয়। যানজট নিরসনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আর অবৈধ টমটমগুলো আটক করা হচ্ছে। উপরের নির্দেশনানুযায়ী আমরা যথাসাধ্য কাজ করছি।