হতভাগা ৬ সিলেটি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০১৯, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে সিলেটের নিহত ১৫ জনের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
তারা হচ্ছেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র আহমেদ মারুফ, ফেঞ্চুগঞ্জের সেনেরবাজার কটালপুর এলাকার মহিদপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন (২৪), একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৪), দিনপুর গ্রামের আফজাল (২৫) এবং সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই, কুলাউড়ার ভুকশিমাইলের আহসান হাবিব শামীম (২৬)। বাকী নিহতদের পরিচয় উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কটালপুর এলাকার মহিদপুর গ্রামে নিহত আব্দুল আজিজ, আহমদ আলী ও লিটন মিয়াসহ নিহত ৬ জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তান হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা-বাবা।
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশি নাগরিক। বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থাগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রাবারের তৈরি ‘ইনফ্লেটেবেল’ নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানায়, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিল।
উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি। ত্রিপোলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী বলেন, তারা দুর্ঘটনার কথা জানেন এবং তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ চলছে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তারা জারযিজে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। লড়াই চলার কারণে সড়কপথে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে তাদের আকাশপথে যেতে হবে।