ভাঙছে কুশিয়ারা, আতঙ্কে এলাকাবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০১৯, ৪:২৭ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মণিপুর গ্রামের কুশিয়ারা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন শীতকালে কিছুটা কম থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তা ব্যাপক আকারে রূপ নেয়। ইতিমধ্যে গ্রামের বেশকিছু বসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন ১০টি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। কুশিয়ারা শুধু বসত ভিটাই গ্রাস করেনি। গ্রাস করেছে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে হবিগঞ্জে টানা তিনদিন বৃষ্টি হয়। যার ফলে বৃদ্ধি পায় কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। এতে আতঙ্ক দেখা দেয় কুশিয়ারার তীরবর্তী মানুষের মধ্যে। ভাঙন দেখা দেয় নতুন করে। নতুন করে বিলীন হয় বেশ কয়েকটি বসত ভিটা।
ভাঙন কবলিত গ্রামবাসীরা জানান, কুশিয়ারার নির্মমতায় প্রতি বছরই শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। অনেকই পরিবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলার সবচেয়ে বেশি ভাঙনের কবলে রয়েছে বদরপুর, মণিপুর, শৌলরী, মির্জাপুর, জয়নগর, ঋণি হাটি, কাদিরপুর, নজরকান্দি। এসব গ্রামের মানুষদের সারাক্ষণ নদী ভাঙন আতঙ্কে থাকতে হয়।
এলাকাবাসী আরও জানান, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে রাতে ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ সম্পূর্ণ ঘরটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পেলেও আমার সারা জীবনের সঞ্চয় পানিতে ভেসে যায়।’
নদী ভাঙনের ব্যাপারে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বলেন, ‘সম্প্রতি আমি কুশিয়ারার পাড় পরিদর্শন করে এসেছি। এছাড়া বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী এলাকা থেকে নদী ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। এছাড়া বাকি অংশের জন্য আমি সংসদে উত্থাপণসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি আলোচনা করব।’
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম নদী ভাঙনের বিষয়ে বলেন,‘বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী এলাকা থেকে নদী ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে সব এলাকাতেই কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করি ২০১৯ সালের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে।’