সিলেট-ঢাকা রুটে নামছে দ্রুতগতির অত্যাধুনিক নতুন ট্রেন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মে ২০১৯, ৫:০৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে অত্যাধুনিক দ্রুতগতির দু’টি নতুন ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমদানি করা অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী ২২০টি কোচ দেশে পৌঁছার পর এসব কোচ ও ইঞ্জিন দ্বারা কয়েক মাসের মধ্যেই এ দু’টি রুটে চালু করা হবে নতুন ট্রেন। শুধু এ দু’টি রুটেই নয়, আরও ১৩টি নতুন ট্রেন চালানো হবে বিভিন্ন রুটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) শামছুজ্জামান।
তিনি বলেন, চলমান ট্রেনগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দ্বারা চালাতে গিয়ে সিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। অনেক সময় চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ছে। রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ২ হাজার ৯২৯ কিলোমিটার রেলপথে মাত্র ২৭৩টি ইঞ্জিন দিয়ে ৩৫২টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হয়।
এ ব্যাপারে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি নয়, নতুন ট্রেন চালুসহ যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব কাজ করতে চাই। রেলের লোকবল আর ইঞ্জিন স্বল্পতার মধ্যেও সর্বোচ্চ যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত যাত্রীবাহী কোচ চলে আসবে। এসব কোচ দিয়ে অন্তত ১৫টি নতুন ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য সবার সহযোগিতাও চাই। চলমান উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন হলে রেলে আমূল পরিবর্তন আসবে।
‘২৫০ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ’ প্রকল্প পরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ৫০টি যাত্রীবাহী কোচের মধ্যে ৩৩টি চলে এসেছে। বাকি ১৭টি কোচ এ মাসের ১৫ তারিখে রেলওয়ে বহরে যুক্ত হবে। এ কোচগুলো নিয়ে অন্তত তিনটি নতুন ট্রেন চালানো যাবে। অপরদিকে ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগির চালান জুন থেকে আসা শুরু করবে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের মধ্যে সব কোচ রেলবহরে যুক্ত হবে।
রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান বলেন, রেলপথের যাত্রী প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গতবছর যাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ কোটি। এ বছর আরো বাড়বে। ফলে নতুন ট্রেন এবং চলমান ট্রেনগুলোয় কোচ বাড়ানোর বিকল্প নেই। যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও চাহিদা পূরণে বুলেট ও ইলেকট্রিক ট্রেন চালুরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।