ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড়: আতংক সিলেটেও, ভয়ের কিছু নেই বললো আবহাওয়া অফিস
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মে ২০১৯, ১০:৪২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
ধীরে এগিয়ে এলেও ঘূর্ণিঝড় ফণি বেশ শক্তিশালী হয়ে গেছে। এখন তার গতি বেড়ে গেছে। ফণি শুক্রবার সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। হতে পারে জলোচ্ছ্বাসও। ইতিমধ্যে দেশের দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রা বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফণির যতই ধ্বংসাত্মক ও ধেয়ে আসার খবর আসছে ততই বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ফনীর আতংকে আছেন সিলেট অঞ্চলের মানুষজন । তবে ‘ভয়ংকর’ কিছু হবেনা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
থেয়ে আসা ফণীর আঘাত সিলেট অঞ্চলে কিছুটা পড়লেও তাতে ভয়ের কিছু নেই। সিলেট আবহাওয়া অফিসের জানিয়েছেন, সিলেট অঞ্চলে ফনীর প্রভাবে স্বাভাবিক দিনের থেকে বাতাস কিছুটা বেশী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া দেশে ফনীর আঘাতে সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাত বেশী হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এজন্য ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয় ) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা,
পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।