এই গরমে ঘুরে আসুন সিলেটের উতমাছড়ায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০১৯, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
কোথাও ধবধবে সাধা পাথর বিছানো, আবার কোথাও পাথরের উপর সবুজ ঘাসের আস্তরন। পানিতে বিছানো রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য পাথর। পুরো এলাকাটি পাথরে ভরা। এই বিবরণ শুনে জায়গাটি অনেকেই বিছানাকান্দি বলে ধরে নিবেন। কিন্তু না, এটা বিছানাকান্দি মতই আরেকটি জায়গার কথা বলা হচ্ছে। অপরূপ সৌন্দর্যের এই জায়গাটির নাম হচ্ছে “উতমাছড়া”।
শীত চলে গেছে। গরম আসি আসি ভাব। শহুরে জীবনে গরম আগেই চলে আসছে। তাইতো প্রকৃতিও গরমের অস্বস্থি থেকে মুক্তি দিতে ডাকছে আপনাকে। এই গরমে ঘুরে আসতে পারেন প্রকৃতিক সৌন্দর্যে শোভিত অপরূপ এই লীলাভূমি উতমাছড়ায়।
সারি সারি পাহাড়ের কোলে পাথরের বিছানায় পানির ছোটাছোটি। পাহাড়ের বুক চিড়ে আসা স্বচ্ছ পানির স্রোত মনকে শিহরিত করে তোলে। রুপ লাবণ্যে যৌবনা উতমাছড়া পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে সৌন্দর্য। প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপ-লাবণ্যে ঘেরা এই জায়গাটি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নে অবস্থিত।
অনেকেরই বিছানাকান্দি যাওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা উতমাছড়া গিয়েছেন তারা এই জায়গাকে বিছনাকান্দির চেয়েও সুন্দর বলেছেন। বিছানাকান্দির মতই সারি সারি পাহাড়ের কোলে পাথড় বিছানো বিস্তৃত এলাকায় স্বচ্ছ পানির দেখা যায়। যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্ত নির্জন এলাকার স্বাদ পেতে উতমাছড়া যাওয়ার বিকল্প নেই।
পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের আস্তরণের বিচরন। পাহাড়ের বুক চিড়ে চলছে স্বচ্ছ শীতল জলরাশি। আর সাদা জলরাশির ফাকে ফাকে পাথর ছড়ানো। আকাশের নীল রঙের ছায়া এসে পরছে মাটিতে। নীল আকাশে সাদা মেঘ নানা ভঙ্গিমায় দৃশ্যমান। পাহাড়ে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে মেঘ। দিগন্তরেখায় মেঘ আর পাহাড়ের পারস্পরিক ভালোবাসা দেখে সবার চোখ জুরে যাবে।
প্রবাহিত ধলাই নদী। সামনে মেঘালয় পর্বত। কোল ছুয়ে বয়ে চলছে ধলাই নদী। এমন দৃশ্য এক কথায় অসাধারণ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমির মধ্যে উতমাছড়া আরেক ভুবন যেখানে ভ্রমনে নিজের সাথে প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে যাওয়া। সবুজের সমারোহের মাজে সাদা মেঘের খেলা, পাথর ছরানো চারপাশে মুক্তার মত জলরাশি, পাখিদের কলতানি দেখে যে কারও মন জুড়িয়ে যেতে বাধ্য।
বর্ষাকালে উতমাছড়া রুপলাবন্যে আবালিল ভাবে ফুটে ওঠে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশী। উতমাছড়ার এমন সৌন্দর্য বর্ষা এলেই দেখা যাবে। বর্ষা চলে গেলে বা পানি কমে গেলে উতমাছড়া তার যৌবন হারিয়ে ফেলে। তখন এখানে গেলে এক মরুভুমির মত লাগবে। তাই শীতকালে উতমাছড়ায় গেলে তার আসল রূপ দেখা হবে না।
কীভাবে যাবেনঃ সিলেট নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সরাসরি সিএনজি করে যাওয়া যায় দয়ারবাজারে। চাইলে কেউ সিএনজি অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে পারেন। দয়ারবাজার থেকে আবার যেতে হবে চড়ারবাজারে। চড়ারবাজার থেকে হেটে উতমাছড়ায় যেতে লাগবে ১০-১৫ মিনিট।