বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দল গঠন, আবেগ ও বাস্তবতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১:৫১ পূর্বাহ্ণ
সুমন মিয়া:
যে বাঙালিরা মিনিটেই করতালি দিয়ে বাহ বাহ জানায়, সেকেন্ড সময়ের ভেতরে এই বাঙালিরাই কিছু বুঝে উঠার ধিক্কার জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে খারাপ ভাষা ব্যবহারে। ২০১১ সালে যখন মাশরাফি ঐ সময়কার বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন তখন দেশের অসংখ্য ক্রিকেট প্রেমীরা নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুলে গালাগালি করেছিলেন। কিন্তু ঐ সময় ম্যাশ মারাত্মক ইনজুরিতে ভুগেছিলেন। ম্যাশ কেঁদেছিলেন, নিজেও জানিয়েছিলেন তিনি পুরোপুরি ফিট ছিলেন না ম্যাচ খেলার জন্য। . আমাদের অসংখ্য অগণিত ক্রিকেটপ্রেমী ক্ষণিকেই আবেগে জর্জরিত হয়ে পড়েন। তাসকিনের অঝোর কান্নায় আবেগপ্রবণ হয়ে অনেকেই নির্বাচকদের দোষারোপ করছেন।
আবেগ থাকাটা ভালো, তবে অতিমাত্রার আবেগ কোনোভাবে কাম্য নয়, যেখানে আছে বাস্তবতা। আপনারা যারা বলছেন আবু জায়েদ রাহীকে কেন নেয়া হয়েছে ? ওর পরিবর্তে তাসকিনকে নেয়া উচিৎ। এটা বুঝতে চাচ্ছেন না কেন তাসকিন ইনজুরির কারণে প্রায় দেড় বছর জাতীয় দলের বাহিরে। ভুলে যাবেন না নির্বাচকরা আপনাদের মত আবেগপ্রবণ হলে যারা দলে ঠাঁই পেতো ঐ খেলোয়াড়দের দিয়ে দুর্বল একটা দলের বিপক্ষে জয় পাওয়া স্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে। আবু জায়েদ রাহীকে নেয়া হয়েছে কন্ডিশন বিবেচনায় রেখে। আপনাদের আবেগের আড়ালে আছে বাস্তবতা আর তা হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস পিচ (উইকেট) দ্রুতগামী বলের পিচ নয় ঐ পিচগুলো সবচেয়ে বেশি সুইং করে ওখানে শট বল করবেন নিশ্চিত বলের পর বল বাউন্ডারি মারবে। আমাদের তাসকিন দ্রুতগতির ও শর্ট বল করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ওপরদিকে আবু জায়েদ রাহী ইনসুইং ও আউট সুইং-এ পারদর্শী।
ইমরুল কায়েস তিনি অনেক অভিজ্ঞ ও ভালো একজন খেলোয়াড়। কিন্তু আপনাকে দেখতে হবে তামিম ইকবাল বা-হাতি ব্যাটসম্যান তাহলে ওপেনিং হিসাবে তামিম ও কায়েস দুজন বা-হাতি হলে কিভাবে কম্বিনেশন বজায় থাকলো তাও আবার বাউন্সিং ও সুইং এর উইকেটে। সমীকরণের দিকে তাকান ইমিরুলের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করুন কি ধরনের মাঠে এবং প্রতিপক্ষ থাকলে তিনি শুধুমাত্র ব্যাট চালাতে সক্ষম তাহলে বুঝতে পারবেন নির্বাচকরা কিভাবে দল সাজিয়েছেন।
প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান বলেছেন আমি ঢাকা লীগে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ম্যাচ রেফারি ছিলাম। ইমরুলের চেয়ে যারা এই দলে আছেন ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে ও দলের ভারসাম্য মিলিয়ে এটাই সেরা দল। নির্বাচকরা মাঠের ফরম্যাট বুঝে দল ঘোষণা করেছেন। আমরা অতিমাত্রার আবেগে জর্জরিত না হয়ে বরং আমরা ক্রিকেট প্রেমীরা প্রস্তুত থাকি বিশ্বমঞ্চে টাইগার্সদের করতালি দিয়ে অনুপ্রাণিত করতে।